এই পরিস্থিতিতে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কিঞ্জরাপু রামমোহন নাইডু ব্যক্তিগতভাবে ইন্ডিগোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন৷ সেই বৈঠকে অসামরিক বিমান পরিবহণ সচিব, ডিজিসিএ, মন্ত্রণের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা (এএআই) উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ইন্ডিগো বিমান বাতিলের সমস্যা স্বীকার করে নিয়ে মূলত কর্মী সঙ্কটকেই দায়ী করে৷ সংশোধিত ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন (এফডিটিএল) বা নতুন নিয়মে ডিউটি রোস্টার করতে গিয়েই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করে৷ সংস্থার পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে, যে উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং উন্নত ফ্লাইট নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মাননীয় আদালতের নির্দেশ অনুসারে সংশোধিত এফডিটিএল নিয়মগুলি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হয়েছিল।
advertisement
যদিও সংস্থার এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি পাল্টা যুক্তি দেন, আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া গিয়েছে৷ জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য এবং বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বিমান ভাড়া যাতে বৃদ্ধি না পায় তা নিশ্চিত করার জন্য ইন্ডিগোকে নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
মন্ত্রী বিমানসংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, বিমান বাতিল করতে হলে পর্যাপ্ত সময় থাকতে আগেভাগে যাত্রীদের জানাতে হবে৷ যাত্রীদের হয়রানি কমাতে প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা, প্রয়োজনে হোটেলে থাকার ব্যবস্থাও সঙ্গে সঙ্গে করার জন্য সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
মন্ত্রী এএআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠকও করেছেন এবং নির্দেশ দিয়েছেন যে সমস্ত বিমানবন্দর পরিচালকদের অবশ্যই পরিস্থিতির উপর ধারাবাহিকভাবে নজর রাখতে হবে এবং আটকে পড়া সমস্ত যাত্রীদের পূর্ণ সহায়তা প্রদান করতে হবে। তিনি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য বিমানবন্দর, এটিসি এবং অন্যান্য বিমান সংস্থা সহ সকল স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে যথাযথ সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবহিত করতে।
