সেই জল্পনায় অবসান ঘটিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার জানালেন, প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় কেবলমাত্র স্বাস্থ্যজনিত কারণে পদত্যাগ করেছেন। অন্য কোনও কারণ এর পিছনে নেই বলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন।
ইচ্ছামতো টাকা তুলছেন ATM থেকে? RBI-এর নতুন নিয়মে বড় ধাক্কা! না জানলেই ফাঁকা হয়ে যাবে অ্যাকাউন্ট!
advertisement
অমিত শাহ বিরোধীদের দাবি — ধনখড়কে নাকি “গৃহবন্দি” করে রাখা হয়েছে — তা সরাসরি খারিজ করে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, “ধনখড় সাহেবের পদত্যাগপত্রই স্পষ্ট করে দেয় সবটা। তিনি স্বাস্থ্যজনিত কারণ উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী এবং সরকারি সহকর্মীদের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তাঁর মেয়াদকালে পাওয়া সহযোগিতার জন্য।”
বিরোধীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে শাহ বলেন, “মনে হচ্ছে আপনারা সত্য-মিথ্যার ব্যাখ্যা দিচ্ছেন শুধুমাত্র বিরোধীদের বক্তব্যের ওপর ভর করে। এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কিছু নেই।”
শাহ আরও যোগ করেন, “ধনখড়জি একটি সাংবিধানিক পদে বসেছিলেন, এবং তাঁর মেয়াদকালে তিনি সংবিধান মেনে যথেষ্ট ভালো কাজ করেছেন। তিনি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে পদত্যাগ করেছেন। এর বাইরে অন্য কিছু খোঁজার দরকার নেই।”
ধনখড় ২১ জুলাই স্বাস্থ্যজনিত কারণে উপ-রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। ঠিক ওই দিনই শুরু হয় সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন, যা শেষ হয় ২১ আগস্ট।
উপ-রাষ্ট্রপতির শূন্যপদ পূরণের জন্য নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে এনডিএ-র প্রার্থী মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি.পি. রাধাকৃষ্ণন, এবং তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী শিবিরের মনোনীত প্রার্থী, প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি বি. সুদর্শন রেড্ডি।
প্রসঙ্গত, ধনখড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১০ অগাস্ট ২০২৭-এ। ৯ অগাস্ট, রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল দাবি করেছিলেন, ধনখড় পদত্যাগ করার পর থেকে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানা যাচ্ছে না। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দাবি করেন তিনি।