প্রায় দু-বছর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সাংসদ তহবিল বন্ধ রাখা হয়েছিল। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সাংসদ তহবিল বন্ধ রাখা হয়েছিল। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই তহবিল চালু করার বিষয়ে সায় দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘‘চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষের বাকি সময়ের জন্য দু-কোটি টাকা করে পাবেন প্রত্যেক সাংসদ। এরপর আগামী অর্থবর্ষ থেকে নিজেদের এলাকার উন্নয়নে প্রতি বছর ৫ কোটি করে পাবেন প্রত্যেক সাংসদ। যমন আগে ছিল, তেমন নিয়ম চালু হবে।’’ দীর্ঘদিন পরে আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাংসদ উন্নয়ন তহবিল চালু করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিভিন্ন দলের সাংসদরা।
advertisement
সাংসদরা নিজেদের এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর ৫ কোটি টাকা করে পান। অর্থাৎ ২ বছরে সাংসদ পিছু মোট ১০ কোটি টাকা। এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের ৭৯০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিতেই ফের সাংসদদের এলাকা উন্নয়নের টাকা দেওয়া চালু করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
তৃণমূলের বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল দীর্ঘদিন ধরেই সাংসদ তহবিল চালু করা নিয়ে সরব ছিলেন। এদিন সুখবর পেয়ে বেজায় খুশি তিনি। তবে, তাঁর পূর্ববর্তী সাংসদ অনুপম হাজরা বোলপুরের উনন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকার প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা ব্যয় করতে পারেননি। ওই টাকা বোলপুরের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করার আর্জি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-'তৃণমূলে ফিরবেন শুভেন্দু অধিকারী'! এবার বিস্ফোরক অভিযোগে সরব 'আদি' BJP নেতা
অসিত মালের কথায়, ‘‘একজন সাংসদ যদি এলাকার উন্নয়নের কাজে না লাগতে পারেন, তবে তাঁকে আম জনতার কাছে হেয় হতে হয়। ভোটরারা আশা করেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এলাকার উন্নয়ন করবেন। টাকা বরাদ্দ করবেন। কিন্তু, গত দু-বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার সাংসদ উন্নয়ন তহবিল বন্ধ করে রাখায় সাংসদরা অসহায় বোধ করেছেন। এবার হয়তো আম জনতার সুদিন ফিরবে। জনপ্রতিনিধিদের মান বাঁচবে।’’
আরও পড়ুন-সুকান্ত মজুমদার-দিলীপ ঘোষ মতানৈক্য প্রকাশ্যে! হাওড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব বাড়ছে BJP-তে?
প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারির কারণে দেশের অর্থনীতি প্রায় ভেঙে পড়েছিল। সেই পরিস্থিতি থেকে অর্থনীতিকে বের করে আনতে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে এমপি-ল্যাড তথা সাংসদের সংসদীয় এলাকার উন্নয়ন তহবিল বাবদ বরাদ্দ টাকা পরবর্তী দু-বছরের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। সে সময় সংসদর অন্দরে এবং বাইরেও একসঙ্গে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন সাংসদরা।
-RAJIB CHAKRABORTY