তবে একতরফা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিলেও জোটের সম্ভাবনা একেবারে খারিজ করে দেননি জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব৷ সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, ‘আলোচনার রাস্তা তো খোলা থাকল। আলোচনার প্রস্তাবে আসলে সমঝোতা করা হবে। আমরা সমস্ত দিক খোলা রাখছি।’
আরও পড়ুন: রণক্ষেত্র ডোমকল, মার খেয়েই সাগরদিঘি মডেলে বাম-কংগ্রেস! ফল মিলল হাতেনাতে
advertisement
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদই প্রথম নয়৷ ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর গতকালই পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোেটর পথে না হেঁটে জেলা পরিষদের সব আসনে প্রার্থী দিয়েছে বামেরা৷
পঞ্চায়েত ভোটে জোট হবে কি হবে না, তা নিয়ে এখনও বামেদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি৷ সূত্রের খবর, কংগ্রেসের সঙ্গে মূলত নিচু তলায় অর্থাৎ গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেই বোঝাপড়ার উপরে বেশি জোর দিচ্ছেন সিপিএম তথা বাম নেতৃত্ব৷
তবে জোটের কার্যকারিতার প্রমাণ এ দিনই মিলেছে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে৷ মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বিরোধীদের প্রথমে শাসক দলের বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ৷ পরে বাম-কংগ্রেস প্রার্থীরা একজোট হয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দেন৷ দুই দলের প্রার্থী, কর্মী- সমর্থকরা একজোট হওয়ায় পিছু হঠে শাসক শিবিরও৷
কয়েক মাস আগে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বামেদের সমর্থনে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস৷ কিন্তু কংগ্রেসের সেই জয়ী প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস ইতিমধ্যেই শাসক দলে নাম লিখিয়েছেন৷ তার পরেও তৃণমূলকে পরাস্ত করতে সাগরদিঘি মডেলের উপরে আস্থার কথাই শোনা গিয়েছে কংগ্রেস এবং বাম নেতৃত্বের মুখে৷ পঞ্চায়েত ভোটে শেষ পর্যন্ত দুই শিবির একই পথে হাঁটে কি না, সেটাই দেখার৷