পুনের হাদাসপুর পুলিশ স্টেশনের এক সিনিয়র অফিসার জানিয়েছেন, স্বপ্নিলের বাবা পুনের শানিওয়ার পেথ এলাকায় একটি প্রিন্টিং প্রেস চালান। বাবা ও মা দু'জনেই বুধবার সেখানে কাজের জন্য গিয়েছিলেন। বোনও কোনও কারণে সেদিন বাইরে গিয়েছিলেন। দুপুরে বাড়ি ফেরার পর দাদাকে কোথাও দেখতে পাননি বোন। এর পর দাদার ঘরে ঢুকেই ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি। বাবা-মাকে খবর দিয়ে পুলিশকেও জানায় বোন। স্বপ্নিলকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে ততক্ষণে স্বপ্নিলের মৃত্যু হয়েছে।
advertisement
স্বপ্নিলের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। সেখানে লেখা ছিল, 'এমপিএসসি, সব মায়া জাল। এর ভিতরে পড়ো না। দিন দিন বয়স ও বোঝা বেড়েই চলেছে।' সুইসাইড নোটে স্বপ্নিল আরও লিখেছেন, 'আমার নিজস্বতা বৃদ্ধি পেলেও আত্মবিশ্বাস ভেঙে গিয়েছে। দু বছর হয়ে গিয়েছে প্রিমিলিমস পাশ করেছি। অনেক ধার হয়ে গিয়েছে, যা একটা বেসরকারি চাকরি করলে মিটবে না। কোভিড না থাকলে সব পরীক্ষাগুলো সময় মতো হত, জীবনটা অন্যরকম হত।'
একই সঙ্গে নিজের এমন চরম সিদ্ধান্তের পিছনে কারও দায় নেই বলে লিখে গিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর যে স্বপ্নভঙ্গ হয়ে যাওয়াই মৃত্যুর কারণ তা স্পষ্ট হয়েছে সুইসাইড নোটে। পুলিশ একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ২০২০ সাল থেকেই এমপিএসসি-র পরীক্ষা আর হয়নি।
