সূত্রের খবর, ইম্ফলের বীর তেকেন্দ্রজিৎ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের উপরের দিকে দুপুর ২টো ৩০ মিনিট নাগাদ একটি অজানা বস্তু উড়ে বেড়াতে দেখা যায়। এরপরেই উড়ান অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক এএআই আধিকারিক সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, এটিসি-র ছাদ থেকে এটিএস আধিকারিকরা ওই ইউএফও দেখতে পান। শুধু তা-ই নয়, জনসাধারণ, স্থানীয় পুলিশ, বিমান সংস্থার কর্মী এবং সিআইএসএফ আধিকারিকরা ওই ইউএফও-টি লক্ষ করেছিলেন। এর পরেই কন্ট্রোলড এয়ারস্পেস বন্ধ করে দেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে অন্তত দু’টি ইন্ডিগো উড়ান অন্য দিক দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আরও তিনটি উড়ান তিন ঘণ্টারও বেশি দেরিতে ছাড়ে।
advertisement
এর মধ্যে ডাইভার্টেড একটি উড়ানকে প্রথমে আকাশে থাকারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর ২৫ মিনিট পরে অবশ্য সেটিকে গুয়াহাটির অভিমুখে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বিমানবন্দরের ডিরেক্টর চিপেম্মি কেইশিং একটি বিবৃতি জারি করে জানান যে, ইম্ফলের কন্ট্রোলড এয়ারস্পেসে একটি আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট দেখা যাওয়ার জন্য দুটো উড়ান অন্য দিকে ডাইভার্ট করা হয়েছে। আর তিনটি বিমান দেরি করে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই ফের বিমান চলাচল শুরু হয়।
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-র এক আধিকারিক বলেন, তাঁরা দুপুর ২টো ৩০ মিনিট নাগাদ সিআইএসএফ-এর তরফ থেকে একটি মেসেজ পান। তাতে বলা হয় যে, বিমানবন্দরের কাছে একটি ইউএফও দেখা গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানান, প্রায় বিকাল ৪টে পর্যন্ত ওই বিমানক্ষেত্রের উপরে পশ্চিম অভিমুখে উড়তে দেখা গিয়েছে ইউএফও-টিকে। আর বিষয়টা খালি চোখেই দৃশ্যমান ছিল। তবে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।
এদিকে এই তথ্য শিলঙের ভারতীয় বায়ুসেনার ইস্টার্ন কম্যান্ডের কাছেও পাঠানো হয়। কারণ মণিপুরের চারপাশে রয়েছে নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং অসম। শুধু তা-ই নয়, মণিপুরের পূর্ব দিকে রয়েছে মায়ানমারের আন্তর্জাতিক সীমান্ত।