ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে৷ ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুজন সেনা কর্মী ও তাঁদের দুই মহিলাবন্ধু একসঙ্গে পিকনিকে যায়৷ পরেরদিন ভোর ২টোর দিকে বুধবার ভোরবেলা৷ পিকনিক স্পটের কাছে মহিউ-মণ্ডলেশ্বর রোডের কাছে গাড়িটা দাঁড়িয়েছিল৷ তখনই সাতজনের একটা দুষ্কৃতির দল তাঁদের উপর হামলা করে৷
advertisement
গাড়িতে তখন একজন সেনাকর্মী ছিলেন৷ তাঁকেও এই দুষ্কৃতিরা ভয়ানক মার ধরে করে বলে অভিযোগ৷ বাদ যাননি তাঁদের সঙ্গে থাকা মহিলারাও৷ একজন মহিলাকে জোর করে টেনে নিয়ো যায়৷ অন্য আর একজন সেনা যিনি গাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ছিলেন, মহিলার চিৎকার শুনতে পান৷ তিনিই পুরো ঘটনা তাঁর সিনিয়রদের জানান৷ তারপরই ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ ইতিমধ্যেই পুলিশ আসার খবরে অপরাধীরা চম্পট দেয়৷
সকাল সাড়ে ছটার দিকে আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ সেখানেই একজন মহিলার উপর ধর্ষণের প্রমাণও পাওয়া যায়৷
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনে অপরাধীদের বিরুদ্ধে লুট, ডাকাতি, ধর্ষণ-সহ একাঝিক ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে৷ দুষ্কৃতিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ৷
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন রাহুল গান্ধি৷ তিনি এর জন্য বিজেপি শাসিত রাজ্যেগুলিতে আইনশৃঙ্খলা অবনতিকে দায়ী করেছেন৷
তিনি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘দুই সেনা সৈন্যেকে মারধর ও তাঁদের মহিলা সঙ্গীকে ধর্ষণের ঘটনা পুরো সমাজকে লজ্জা দেওয়া জন্য যথেষ্ট৷ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে আইন-শৃঙ্খলা প্রায় নেই বললেই চলে৷’’