সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একাধিকবার আত্মসমর্পণ করার কথা বলা হলেও জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ না করে পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়েই সাধারণ দুই নাগরিক গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতে জঙ্গিকে নিকেশ করতে পারলেও আরও দুই জঙ্গি ঘটনাস্থলে ছিল। রাতে তারপর এলাকা ঘিরে রাখে সেনা। অপরেশন বন্ধ রেখে থাকে কড়া পাহারা। সকালে ফের শুরু হয় গুলির লড়াই। তখনই এক জঙ্গি আত্মসমর্পণ করে। সে স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার নাম খাওয়ার সুলতান মীর। সে দরংবল এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে আরও এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। মৃত দুই লস্কর জঙ্গিই পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে সেনা।
advertisement
ঘটনার পর এলাকায় তল্লাশি চালায় সেনা। সেই তল্লাশিতে বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও জেহাদি বইপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কাশ্মীর পুলিশের আই জি জানিয়েছেন, সেনা ও পুলিশ যৌথভাবে সাফল্যের সঙ্গে এই অপারেশান চালিয়েছে। সেই কারণেই একজনের জীবন বেঁচে গিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, সেনার তৎপরতাতেই এভাবে বিপথে যাওয়া যুবকরা সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসতে পারেন।