২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরের আগে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে হামলার চেষ্টা করে পাক জঙ্গিরা ৷ সমুদ্রপথে মুম্বইয়ে আক্রমণ চালানোর আগেই সমুদ্রে দুর্ঘটনায় নষ্ট হয়ে যায় বিস্ফোরক ও অস্ত্র ৷ কিন্তু প্রাণে বেঁচে যান জঙ্গিরা ৷ ওই বছরেরই অক্টোবরে একই জঙ্গিবাহিনী আবার হামলার চেষ্টা করেন কিন্তু এবারও পরিকল্পনা কিছু খামতিতেই ব্যর্থ হয় অভিযান ৷ কিন্তু তৃতীয়বার আর ব্যর্থ হয়নি জঙ্গিরা ৷ ২৬ নভেম্বর ২০০৮-এ তাদের প্রচেষ্টা সফল হয় এবং সন্ত্রাসবাদের কালো ছায়া নেমে আসে মুম্বইসহ ভারত জুড়ে ৷ এই সমস্ত তথ্যই উঠে এসেছে হেডলির স্বীকারোক্তি ৷
advertisement
‘২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদ ৷ তাঁর নির্দেশেই কাজ করতাম’, স্বীকারোক্তি হেডলির ৷ এর সঙ্গেই হেডলি জানিয়েছেন, পাক সেনা আধিকারিকরাও হামলার চক্রান্তে জড়িত ছিলেন ৷ হেডলির স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে মোস্ট ওয়ান্টেড আবদুল রেহমান পাশার ভূমিকাও ৷ ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় রেহমান পাশা ৷ ভারতের ভিসা পেতে হেডলিকে সাহায্য করেছিলেন ডঃ তাহউর হুসেন রানা ৷ ২৬/১১-এর অন্যতম চক্রী ডেভিড কোলম্যান হেডলি এদিন মুম্বই আদালতে বয়ান দিয়েছেন, ‘ পঞ্জাব প্রদেশের স্কুলে রানার সঙ্গে পরিচয় হয় ৷ সইদের বক্তৃতায় অনুপ্রাণিত হয়েই ২০০২ সালে লস্করে যোগ দিই ৷ প্রথম ট্রেনিং হয় মুজফ্ফরবাদে ৷ আমার কাছে ভারতীয় ভিসা দেখে খুশি হয় ISI কর্তারা ৷ খুশি হয়ে সাজিদ মীর ও মেজর ইকবালের সঙ্গে পরিচয় করায় মেজর আলি ৷ সাজিদ মীরের সঙ্গে ‘chalchalo@yahoo.com’ এই মেল আইডির মাধ্যমে কথা হত ৷’
২৬/১১ মুম্বই হামলার পিছনে প্রথম থেকেই পাক যোগের কথা বলে আসছে ভারত ৷ হেডলির এই বয়ানেই স্পষ্ট পাক যোগ এবং হাফিজ সইদের ভূমিকা ৷ হেডলির এই স্বীকারোক্তি আবু জুন্দালের শুনানিতেও কাজে লাগবে ভারতের ৷ উল্লেখ্য, আর্থার জেল থেকে এই ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন আবু জুন্দাল ওরফে সইদ জাবাউদ্দিন আনসারি ৷