বাজেটের জবাবী ভাষণে বিরোধীদের আক্রমণের পাশাপাশি বেশ কিছু কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ মোদি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘কেউ কেউ ভারতের অগ্রগতি সহ্য করতে পারছেন না৷ শেষ ন’বছর ধরে সারা দেশে ৯০ হাজার স্টার্ট আপ চালু হয়েছে৷ সারা পৃথিবীতে এটিই তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ তৈরির দেশ৷ সেই উন্নতি কেউ কেউ সহ্য করতে পারছে না৷’
advertisement
মোদি এর আগে ভাষণে আক্রমণ করেন পূর্ববর্তী ইউপিএ সরকারকেও৷ মোদি মত প্রকাশ করে বলেন, যে ১০ বছর ইউপিএ জোট সরকার চালিয়েছে দেশে, সেই সময়ে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে দূর্নীতি হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুর্নীতি দেখে ভারত৷ সেই সময়ে ভারতে সবচেয়ে বেশি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি৷ সেই দশ বছরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত নিজের অবস্থান নষ্ট করেছে৷’’
আরও পড়ুন: সংসদে মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনায় তৃণমূল, কথা বলতে দফায় দফায় বাধা মহুয়া মৈত্রকে
মোদি এর পর উল্লেখ করেছেন টু’জি স্পেক্ট্রাম দূর্নীতির কথাও৷ বলেছেন সেই সময়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অস্থির হয়ে পড়েছিল৷ উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে বর্তমান সরকারের আমলে দেশের উন্নতির কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী৷
মোদি বলেন, ‘‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখেছে৷ কোনও কোনও দেশে মূদ্রাস্ফীতি তীব্র আকার ধারণ করেছে, কোথাও কোথাও বেকারত্বের করাল থাবা এসে গ্রাস করেছে৷ তার মধ্যে রয়েছে আমাদের প্রতিবেশী দেশও৷ এই কঠিন সময়েও ভারত পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে উপস্থিত হচ্ছে৷’’
কংগ্রেসকেও দলীয় স্তরে এদিন আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী৷ সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, ‘‘বিভিন্ন বিরোধীগুলির উচিত ইডি-কে ধন্যবাদ জানানো৷ কারণ তাঁরা এই বিরোধী গোষ্ঠীকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছে৷’’ এমনিতে সারা দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়েছে৷ এখন সেই নিয়ে বিরোধীরা স্বর তুলেছে, ঘুরিয়ে সেই বিষয়েই মোদি জবাব দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে৷