উৎসবের মরশুমে ত্রিপুরাসুন্দরীর মন্দির, নীরমহলকে কেন্দ্র করে দেশ বিদেশের পর্যটক টানতে আগ্রহী ত্রিপুরা রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে উৎসব হচ্ছে। নীরমহল ও রুদ্রসাগরের সঙ্গে এখানকার মানুষের নাড়ির সম্পর্ক, জীবন জীবিকা, আত্মিক সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আমাদের দেশে যেসব জলমহল রয়েছে তার মধ্যে নীরমহল অন্যতম একটি। প্রাসাদের সৌন্দর্য এবং এর প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। এই নীরমহলকে নিয়ে ত্রিপুরা সরকার অনেক চিন্তাভাবনা করছে, কীভাবে একে আরও প্রচার প্রসার করা যায়। যদিও এই নীরমহল সম্পর্কে এখনও অনেক মানুষ তেমনভাবে অবগত নন। ইন্টারনেটকে মাধ্যম করে সকলকে নীরমহলের ঐতিহ্য ও পরম্পরা সম্পর্কে প্রচার করতে হবে। তবেই মানুষ জানবে এবং বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ এখানে আসবেন। এতে অর্থনৈতিকভাবেও আমাদের উন্নয়ন হবে। বিশেষ করে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। আমরা সবাই জানি মহারাজা বীরবিক্রম কিশোরমাণিক্য বাহাদুরের হাত ধরে এই নীরমহল গড়ে উঠেছিল।
advertisement
আরও পড়ুন : মিজোরামের মানুষের জন্য ঐতিহাসিক দিন, আইজল ভারতের রেল মানচিত্রে যুক্ত হল!
স্বদেশ দর্শন কর্মসূচিতে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হচ্ছে। এই কর্মসূচিতে রাজঘাটের সৌন্দর্যায়ান ও নীরমহলও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার পুরনো ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্যও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। যা যা দরকার, সেভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। মাথাপিছু আয় ও জিএসডিপি এর ক্ষেত্রে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে কী অবস্থা ছিল রাজ্যে? আগে মেলা ও উৎসবকেও রাজনীতিকরণ করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা চাই সবাইকে নিয়ে মেলা ও উৎসবে সামিল হতে। আমরা চাই মানুষের উপর বোঝা না হতে। আগে দেখতাম সংস্কৃতির নামে কী হত। একটা সুষ্ঠু সংস্কৃতি মনোভাব সম্পন্ন পরিবেশ এখন আমরা তৈরি করতে পেরেছি। তাই মানুষ বেড়াতে আসুক আমরা চাই।’’