সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব রাজ্যের বেহাল শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বলেছেন, "২০১৮ সালে বিজেপির একটা ভিশন ডকুমেন্ট ছিল, যেই ভিশন ডকুমেন্টে ত্রিপুরার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিজেপি প্রচুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু গত সাড়ে চার বছরে সেটা বাস্তবায়ন হয়েছে কি না সেই বিচারটা আমি ত্রিপুরার ছাত্রছাত্রীদের উপর ছেড়ে দিচ্ছি। কিছু তথ্য আমরা তুলে ধরতে চাই। সেটা বিচার করলে দেখা যাচ্ছে বিজেপি ত্রিপুরার ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।"
advertisement
আরও পড়ুন: বিধানসভার স্বল্পকালীন অধিবেশন শুরু আজ, মুখ্যমন্ত্রীর পাশে পার্থর আসনে এ বার কে বসবেন, জানুন
উত্তর-পূর্ব ভারতে রাজনৈতিক সংঘর্ষে ত্রিপুরা প্রথম স্থান হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সুস্মিতা দেব বলেছেন, "আজকে আমি পত্রপত্রিকাতে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে দেখেছি যে, সারা উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা প্রথম স্থানে আছে। আমি আজকে ডিজিপিকে চিঠি দিয়েছি কারণ আমাদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই ছবি এসেছে যে, শত শত উত্তরপ্রদেশের রেজিস্ট্রেশন করা মোটরসাইকেল এই রাজ্যে এসেছে। এই মোটরসাইকেলগুলো কেন বিধানসভা নির্বাচনের ৫ মাস আগে ত্রিপুরা রাজ্যে আনা হয়েছে সেটার তদন্ত করা হোক। ঊনকোটি যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিকে একজন মন্ত্রী তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে দিয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "আজকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে দশ দফা দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেবো শিক্ষা প্রধানের কাছে। যার মধ্যে উল্লেখ থাকবে বিদ্যাজ্যোতি বিদ্যালয়গুলিতে কোনওরকম সঠিক পরিকাঠামো নেই, মেলাঘর হাইস্কুলে শিক্ষকের বদলে আয়ারা পড়াচ্ছে,- এইসব কিছু। এটা লজ্জার ব্যাপার যে পশ্চিম পিলাক হাই স্কুলে শুধুমাত্র দু'জন শিক্ষক আছে, কিন্তু ৩৫০০ টেট উত্তীর্ণরা চাকরি পাচ্ছেনা।"
এর আগেও টেট উত্তীর্ণদের চাকরির দাবি নিয়ে রাজভবন অভিযানে সামিল হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ অন্যদিকে যে সমস্ত শিক্ষকরা চাকরি হারিয়েছেন তাদের নিয়োগের ব্যাপারেও সামিল হয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।