এবার পাল্টা মুখ খুললেন ত্রিপুরার বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি বরাবরই সুস্থ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। কিন্তু পশ্চিমবাংলার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তৃণমূলের বেপরোয়া রাজনৈতিক হিংসা সারা দেশের বিজেপি কার্যকর্তা-সহ সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিকদের মনে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে, অতিক্রম করেছে ধৈর্যের সীমা।”
ত্রিপুরার বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য আরও বলেন, ” বিগত ১৫ বছরের তৃণমূল শাসনে পশ্চিমবাংলার জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। একটি বিশেষ ধর্মীয় শ্রেণীকে ক্রমাগত তোষণ ও তাঁদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক হিংসার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার ঘৃণ্য মানসিকতা সাধারণ মানুষ কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। সম্প্রতি বন্যায় বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে ত্রাণ কাজে এগিয়ে এলে তৃণমূল আশ্রিত দুর্বৃত্তদের দ্বারা প্রাণঘাতী আক্রমণের শিকার হয়েছেন আমার দলীয় সহকর্মী ও সাংসদ তথা জনজাতি নেতা খগেন মূর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই নক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি ত্রিপুরাতেও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। রাজনৈতিক হিংসা ত্যাগ করে মনুষের কল্যাণে কাজ করাই হোক রাজনীতি, নয়তো প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ হবেই।”
advertisement
পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ” বাংলায় ভোটের মাঠে তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করতে না পেরে, বিজেপি তাদের ক্ষমতায় থাকা রাজ্যগুলিতে সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে। ত্রিপুরা পুলিশের নজরদারির মধ্যেই তাদের কর্মীরা আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে তাদের প্রতিশোধমূলক ও আইনহীন মানসিকতা প্রকাশ করেছে। এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত। আগেও ত্রিপুরায় আমার গাড়ির কনভয়ে হামলা হয়েছে।”