এই নিয়ে ত্রিপুরা পুলিশকে এক হাত নেওয়া শুরু করেছে তৃণমূলও। কুণাল ঘোষের বক্তব্য, "অন্যায়ভাবে ধৃত তৃণমূল কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গুচ্ছের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অভিষেক, ব্রাত্য, দোলা, আমি, সুবলদা, প্রকাশদার বিরুদ্ধে IPC 186/34 ধারায় নিজের থেকে মামলা করল খোয়াই থানার পুলিশ। ভয় পেয়েছে বিজেপি। আমরা কোনও ভাবেই পুলিশের কাজে বাধা দিইনি। কোর্টেও পুলিশ সেদিন এমন কোনও অভিযোগ তোলেনি।"
advertisement
ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ব্রাত্য বসুরও। ব্রাত্য অবশ্য কবিতায় কবিতায় শ্লেষ করছেন এই ঘটনাকে সামনে রেখে। ব্রাত্যর কথায়-"ত্রিপুরায় বিপ্লব চলছে।" শিক্ষামন্ত্রী টিপ্পনী তুলে এনেছেন ষাটের দশকের কবি তুষার রায়ের বিখ্যাত ছড়া থেকে। লিখেছেন- "চোপ,ত্রিপুরায় বিপ্লব চলছে!! ভয় পেওনা,ভয় পেওনা তোমায় আমি মারবো না। সত্যি বলছি তোমার সঙ্গে কুস্তি করে পারবোনা। পুলিশ, ২০২৩ এ কিন্ত আমাদের দেখে মাথার টুপিটা খুলিস!! সৌজন্য : বিজয় তেন্ডুলকার,সুকুমার রায় এবং তুষার রায়।"
শনিবার ত্রিপুরায় আমবাসা যাওয়ার পথে আক্রান্ত হন তৃণমূলের ছাত্রনেতারা। রবিবার সকালে যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য, যুব নেতা সুদীপ রাহা, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেত্রী জয়া দত্ত-সহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মহামারী আইনে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ত্রিপুরায় নেমেই সোজা থানায় চলে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দীর্ঘক্ষণ থানায় ধর্না দেন অভিষেক, ব্রাত্য, দোলারা।এসডিপিও রাজীব সূত্রধরও ওসি মনোরঞ্জন দেববর্মাকে রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে অভিষেক বলেন, 'তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে আপনি অভিযোগ দেখান। আমি এখানে বসে থাকব৷ আপনি হয় এদের থানা থেকে জামিন দিন, নয়তো জানান, অভিযোগ কী।' ঘটনাক্রমে সেদিনই আদালতে তোলা হলে জামিন হয় দেবাংশুদের। অভিষেক নিজেই তাদের নিয়ে কলকাতায় ফেরেন। তার ঠিক দুদিন পরেই নতুন করে আবার আদাজল খেয়ে নামল ত্রিপুরা পুলিশ।
ইনপুট -আবীর ঘোষাল