আরও পড়ুন-‘মাদারিহাট মডেল…’ চা বাগানে রাজনৈতিক জমি শক্ত করতে কৌশল তৃণমূলের
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘যেকোনও প্রতিষ্ঠানে একটা অডিটোরিয়াম থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অডিটোরিয়াম বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স করার ক্ষেত্রে একটি সহায়ক মঞ্চ হিসেবে কাজ করে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে একটি করে অডিটোরিয়াম গড়ে তুলতে চাইছে রাজ্য সরকার। ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যেকার সম্পর্ক খুবই গভীর। আমি নিজেও মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক হওয়ার সুবাদে এই সম্পর্কের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারি। একটা প্রতিষ্ঠানে গুরু ও শিষ্যের মধ্যে যে পরম্পরা সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানের ফ্যাকাল্টিরাও খুবই উচ্চ শিক্ষিত। তাই ছাত্রছাত্রীদের কাজ হচ্ছে শিক্ষকদের ভেতরে যা জ্ঞান রয়েছে সেটা বের করে নেওয়া। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বারবার বলছেন আগামী দিন তাদের হাতেই পৃথিবী যাদের কাছে জ্ঞান রয়েছে।’’
advertisement
আরও পড়ুন– রাজ্যের তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে, সপ্তাহান্তে জাঁকিয়ে শীত?
দেশের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সরাসরি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাদের মতামতকে অগ্রাধিকার দেওয়ার চেষ্টা করেন। দেশকে উন্নয়নের দিশায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়ার কথা বলেন। তরুণ প্রজন্মকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিও গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। আর ছাত্র জীবনেই ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের ভিত্তি মজবুত করতে হবে। শেখার জন্য এটাই ছাত্রছাত্রীদের প্রকৃত সময়।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এদিন আরও বলেন, ‘‘সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। মুম্বইতে রাজ্যের অনেক রোগী এবং অন্যান্য কাজে মানুষ যায়। কিন্তু সেখানে থাকার সমস্যা হয় তাদের। তাই মুম্বাই গিয়ে আমি সেখানে ত্রিপুরা ভবনের জন্য প্রস্তাবিত জায়গা ঘুরে দেখি। কিছুদিন আগে দিল্লিতে গিয়েও নতুন ত্রিপুরা ভবনের জায়গা ঘুরে দেখি ও পর্যালোচনা করি। ডাঃ সাহা বলেন, একটা সময় ছিল এটাকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বলা হতো। বহু পুরনো। আমাদের আত্মীয়ও এখান থেকে পড়াশুনা করেছে। পরবর্তী সময়ে ৭০-এর দশকে পলিটেকনিক কলেজে আতঙ্কের পরিবেশ ছিল। বোমাবাজি-সহ ইত্যাদি হিংসাত্মক ঘটনা এই প্রতিষ্ঠানে লেগে থাকতো। সেসব ঘটনা মনে পড়লে দুঃখ হয়।’’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বর্তমানে প্রায় ১৯টি আইটিআই রয়েছে। কিন্তু সেগুলি জরাজীর্ণ দশায় রয়েছে। তাই এগুলির আধুনিকীকরণের জন্য কিছুদিন আগে টাটা টেকনোলজির সঙ্গে আমাদের মৌ স্বাক্ষরিত হয়। তারা এগুলির আধুনিকীকরণে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। রাজ্য সরকারও বিনিয়োগ করবে। এই চুক্তির ফলে রাজ্যে বিনিয়োগের পাশাপাশি উন্নতমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইটিআই থেকে পাশ করা ছাত্রছাত্রীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ আগামীদিনে বৃদ্ধি পাবে। কিছুদিনের মধ্যে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়ে যাবে।