সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এবার ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন। কিছুদিন আগে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কার্যকারিণী বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের বলেছেন যার যার রাজ্যে গিয়ে নিজেদের বুথে যেতে। আর সেখানে কার্যকর্তাদের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলতে হবে যে প্রধানমন্ত্রী আপনাদের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য আমাদের পাঠিয়েছেন। ইতিমধ্যেই আমাদের কার্যকর্তাগণ সেই কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যা বলেন, সেটা করেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ক্রমশ বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ শক্তিশালী হচ্ছে, মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। মহিলাদের উন্নয়ন, গরীবদের উন্নয়ন, যুবাদের উন্নয়ন ও কৃষকদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকলের আশীর্বাদ চেয়েছেন তিনি।’’
advertisement
আরও পড়ুন– নারী ক্ষমতায়ন থেকে ১০০ দিনের কাজ, নানা ঘোষণা থাকতে চলেছে তৃণমূলের ইস্তেহারে
তিনি আরও বলেন, ‘‘আসন্ন এই নির্বাচন আগামীতে দেশ কোনদিকে যাবে সেটা নির্ধারণ করার নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব ও পূর্ব ত্রিপুরা জনজাতি সংরক্ষিত আসনে কৃতি সিং দেববর্মাকে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে হবে। আমাদের দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময়ে প্রচুর সংখ্যায় মানুষের সমাগম হয়। যা ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি মানুষের সমর্থনকে স্পস্ট করেছে।’’
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ‘‘আগামী ১৯ এপ্রিল সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আসতে হবে। সবাইকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আমি নিশ্চিত আপনারা সকলেই আমাদের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন। কারণ ভারতীয় জনতা পার্টি একটা ইউনিক পার্টি। সেবাই সংগঠন এই পার্টির অন্যতম লক্ষ্য। সারা বছরের ৩৬৫ দিনই মানুষের কল্যাণে কাজ করে এই পার্টি।’’ এর পাশাপাশি কমিউনিস্ট ও কংগ্রেসের প্রবল সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘কমিউনিস্টদের জমানায় শুধু এই দক্ষিণ জেলায় ৬৯ জনকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। সেখানে আপনারা কি চাইবেন আবার খুনের রাজত্বে ফিরে যেতে?’’ সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘‘এই কংগ্রেস তখন বিরোধী দলে ছিল। আর তাদের কর্মীদের বেছে বেছে খুন করা হয়েছে। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, মারধর করা হয়েছে, মা-বোনদের সম্ভ্রম নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। আর এখন তারাই সেই কমিউনিস্টদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অশুভ জোট গড়েছে। অথচ ২০২৩-এ কীভাবে সন্ত্রাস ছাড়া নির্বাচন করতে হয়, সেটা করে দেখিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার।’’