অনুষ্ঠানে দলীয় কার্যকর্তাদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান রাখেন, জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। সবকিছুই খোলাখুলি শেয়ার করতে হবে তাদের। এতে জনসাধারণের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ভোটের ফলে পিছিয়ে থাকা বাঁকুড়ায় কী বার্তা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ?
এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা আরও বলেন, এবারের নির্বাচনে মহিলাদের ভোট ৩ শতাংশ বেশি পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মহিলাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। তিনি মহিলাদের স্বশক্তিকরণে জোর দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে মহিলারাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে শামিল হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ৫ বছরে রাজ্যের চেহারা আমূল পাল্টে যাবে। সবক্ষেত্রেই ত্রিপুরা এখন সামনের দিকে এগিয়ে চলছে। এবারের সদ্য সমাপ্ত ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম এবং কংগ্রেস একজোট হয়ে লড়াই করেছে। কিন্তু ২ মার্চের ফলাফলের পর তাদের আর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। এখন কমিউনিস্টদের অন্যতম কাজ দলের ক্যাডার ধরে রাখতে এবং কংগ্রেস কর্মীদের মুখপাত্র হিসাবে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ডেপুটেশন প্রদান করা ও সক্রিয় থাকা। তাদের খেলা এই রাজ্যের মানুষ বুঝতে পেরেছেন।
advertisement
এর মধ্যেও কোনও হিংসা বা সন্ত্রাসকে বরদাস্ত করবে না বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। এসব ঘটনা মোকাবিলায় আরক্ষা প্রসাশনকে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। যারাই রাজ্যে অশান্তি কিংবা অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এ ছাড়া রাজনৈতিক অঙ্গনে সিপিআইএম এবং কংগ্রেসকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।