আগরতলার এডি নগরস্থিত মনোরঞ্জন দেববর্মা স্মৃতি স্টেডিয়ামে পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিশ কর্মীদের শৃঙ্খলাপরায়ণ ও দেশাত্মবোধের ভাবনা প্রবল হতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে তাদের। পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, জনসংখ্যার নিরিখে অপরাধের গড়ে দেশের ২৮টি প্রদেশের মধ্যে নীচের দিক থেকে ত্রিপুরা এখন তৃতীয় স্থানে রয়েছে। যা আগে ছিল পঞ্চম স্থানে। অর্থাৎ প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় রাজ্যে অপরাধের সংখ্যা ১১০। এক্ষেত্রে জাতীয় গড় হচ্ছে ৪২২। সেদিক থেকে বিচার করলে রাজ্য এখন ভাল স্থানে রয়েছে। কিন্তু এতে আত্মতুষ্টির কোনও স্থান নেই। শারীরিক অপরাধের মামলায় নীচের দিক থেকে ত্রিপুরার স্থান দেশের মধ্যে অষ্টম।
advertisement
সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় ত্রিপুরা সর্বনিম্ন স্থান অর্থাৎ ১ নম্বরে রয়েছে। প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় মাত্র ১১.৯ শতাংশ হারে এই অপরাধ হচ্ছে রাজ্যে। সেখানে জাতীয় গড় ২০.৮। আগে এই অপরাধে তৃতীয় স্থানে ছিল ত্রিপুরা। নারী সংক্রান্ত অপরাধে নীচের দিক থেকে ত্রিপুরা অষ্টম স্থানে রয়েছে। জনসংখ্যার নিরিখে প্রতি লক্ষে ৩৭টি করে নারী সংক্রান্ত অপরাধের মামলা হচ্ছে রাজ্যে। এক্ষেত্রে জাতীয় গড় ৬৬। এই তালিকায় গত বছর নবম স্থানে ছিল ত্রিপুরা। এছাড়া পণ সংক্রান্ত অপরাধ, চুরি, ডাকাতি, খুন ইত্যাদি ঘটনা ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে অনেক কমেছে।
আরও পড়ুন– চলন্ত ট্রেনে শৌচাগার ব্যবহার করতে হলে লোকো পাইলটরা কোথায় যান ? ভেবে দেখেছেন কি কখনও?
পুলিশ সপ্তাহ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ মোকাবিলায় ত্রিপুরা পুলিশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। কিছুদিন আগেও চারজন কট্টর এনএলএফটি সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিশেষ সাফল্যের জন্য ত্রিপুরা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের পাশাপাশি রাজ্যে এখন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সমস্যা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রেও রাজ্য পুলিশ বেশ ভাল কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এর আগেও রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনের মতো শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যক্ষ হয় নি। কোনও ধরণের অঘটন বা অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য ত্রিপুরা পুলিশকে ধন্যবাদ।