সাক্ষাৎকারের সময় রাজ্যের রেল পরিষেবা ও পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে প্রতিনিধিদলটির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। আলোচনায় রেলওয়ে লাইনের বৈদ্যুতীকরণের অগ্রগতি, বদরপুর থেকে সাব্রুম পর্যন্ত বৈদ্যুতিক যাত্রিবাহী ট্রেন চালু করা, সিঙ্গল লাইন রেলওয়ে ট্র্যাককে ডাবল লাইন ট্র্যাকে রূপান্তর করা, আগরতলা-গুয়াহাটি ইন্টারসিটি রেল পরিষেবা চালু করা, ২৩টি রেলওয়ে ওভারব্রিজ তৈরির বর্তমান অবস্থা, অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের আওতায় আগরতলা, ধর্মনগর এবং উদয়পুর রেল স্টেশনকে আধুনিকমানের রেল স্টেশনে পরিণত করা, আগরতলা-জম্মু, আগরতলা-পুরী এবং আগরতলা-গয়া এক্সপ্রেস ট্রেন চালু, পেঁচারথল থেকে কৈলাসহর হয়ে ধর্মনগর পর্যন্ত বিকল্প রেল লাইনের ব্যবস্থা, জিরানিয়া রেল স্টেশন থেকে বোধজংনগর এবং আরকেনগর শিল্পনগরী পর্যন্ত রেল সংযোগ, সাব্রুম রেল স্টেশন থেকে সাব্রুম ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন, গুয়াহাটি থেকে আগরতলা পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু সহ সেকেরকোটে ফুয়েল স্টোরেজ ডিপো নির্মাণের অগ্রগতি এবং আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
advertisement
আলোচনার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন স্টেশনগুলির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি আগরতলা রেল স্টেশনকে বিশ্বমানের রেল স্টেশনে রূপান্তর করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন : দক্ষিণবঙ্গে সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা, উত্তরে কেমন থাকবে আবহাওয়া? জেনে নিন
সাক্ষাৎকালে মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী এবং পরিবহণ দফতরের যুগ্মসচিব মৈত্রী দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে মালদহ থেকে মণিপুর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় তারা পরিষেবা বাড়ানোর জন্য নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের যোগাযোগ বাড়াতে আরও দ্রুতগামী রেল থেকে স্টেশন পরিকাঠামো- উভয়ের উন্নতি করতে চায় রেল।
