মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, রাজ্যের সমস্ত সরকারি দফতরের ডিরেক্টরেট অফিস এক বিল্ডিংয়ের ছাদের তলায় নিয়ে আসার লক্ষ্য নিয়ে ত্রিপুরায় প্রথমবারের মতো অফিস ভবন তৈরি করা হচ্ছে। এই ভবন নির্মাণে ক্যালিফোর্নিয়ার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগানো হচ্ছে। আর রাজ্যের বর্তমান সরকার পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে।
মুখ্যমন্ত্রী তথা পূর্তমন্ত্রী ডাঃ সাহা জানান, প্রায় এক একর জমির উপর এই বহুতল ভবন গড়ে তোলা হচ্ছে। নির্মীয়মাণ এই ভবন তৈরিতে প্রাথমিক ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় ১৩৩.৮৯ কোটি টাকা। প্রথমে ২০২৬ এর এপ্রিল/মে মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্য ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু পরিকল্পনায় কিছুটা রদবদলের কারণে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মীয়মাণ এই বহুতল ভবনে যাবতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা থাকবে। সেই সঙ্গে ৪টি লিফট, ১৮০ আসনের ডাইনিং হল, ৪০০ আসন বিশিষ্ট কনফারেন্স হল, গাড়ি পার্কিংয়ের সুবন্দোবস্ত, সোলারের মাধ্যমে বৈদ্যুতিকীকরণ সহ আরো অন্যান্য সুযোগ সুবিধা রাখা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন : জামনগর থেকে দ্বারকাধীশ মন্দির, পায়ে হেঁটে ১৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করছেন অনন্ত আম্বানি
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, এই প্রথম ত্রিপুরায় এধরণের অত্যাধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে সুবিধা হবে অফিসার, কর্মচারী থেকে শুরু করে অফিসে আসা লোকজনের। মানুষ যাতে এক ছাদের নীচে সহজেই বিভিন্ন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা পায় সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার। উল্লেখ্য, এই ভবনটি সম্পূর্ণ ভূমিকম্প প্রতিরোধ ব্যবস্থাযুক্ত প্রযুক্তি নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে।