আরও পড়ুন: গোয়া জিততে কৌশল কী, সফরের শেষদিনে এক বক্তব্যেই বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
পুলিশের তরফে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ বাড়ছে রাজ্যে, এই পরিস্থিতিতে বড় সংখ্যক মানুষের সমাগম সমস্যা বাড়াতে পারে। এছাড়াও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ত্রিপুরার সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক গণ্ডগোলের কথাও। তাছাড়া চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, রবিবার রাষ্ট্রীয় একতা দিবস উপলক্ষ্যে পুলিশ অন্যান্য জায়গার নিরাপত্তায় ব্যস্ত থাকবে। ফলে অভিষেকের সভাস্থলে নিরাপত্তা দিতে অসুবিধা হবে। তাছাড়া রাজধানী শহরের প্রাণকেন্দ্রে এইভাবে সভা করলে ট্রাফিক ব্যবস্থার উপরও চাপ পড়বে বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে।
advertisement
আরও পড়ুন: দিনহাটায় বহু বুথে এজেন্ট নেই BJP-র, তৃণমূল প্রার্থীর মুখে হাসি আর কটাক্ষের সুর
তৃণমূলের অবশ্য অভিযোগ, রাজ্যে নির্বাচনী আইন বলবৎ রয়েছে, তাই সভার অনুমতি বাতিল করতে না পারলেও নানা রকম উপায়ে সভা নিয়ে সমস্যা তৈরি করছে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের কথায়, "বহু জায়গায় গিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। এই সভায় আসার জন্যে যাতে কেউ গাড়ি না পায় সে জন্যও হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে।" বিজেপি অবশ্য এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাঁদের পাল্টা কটাক্ষ, যে দলের কোন সংগঠনই নেই, তারা এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছে।
আরও পড়ুন: প্রশিক্ষণ ছাড়া আর ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যু নয়, আয়কর আবাসনে তৈরি হল ইকো অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প
সব ঠিকঠাক থাকলে, আগরতলা রবীন্দ্র ভবনের সামনে অভিষেকের সভা হওয়ার কথা। রবীন্দ্র ভবন থেকে ওরিয়েন্ট চৌমহনী পর্যন্ত এলাকায় সভার প্রস্তুতিও সেরে রাখছে তৃণমূল। বিমানবন্দর থেকে আগরতলা শহর বিভিন্ন প্রান্তে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার, ব্যানার, কাট আউটে। এরই মধ্যে পুলিশের চিঠি নতুন করে আলোড়ন ফেলেছে ত্রিপুরায়।