কিশোর মাণিক্য বলেন, "তিপ্রামোথা কারও সঙ্গে জোটে যাবে না। বিধানসভায় আমরা আলাদা বলব। উন্নয়নের কাজে প্রশাসন বা সরকার যে সাহায্য চাইবে, আমরা করব। আমার সঙ্গে আজ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার কথা হয়েছে। আমি ওনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। উনিও আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে আমরা জনজাতি-আদিবাসীদের দাবিতেই লড়াই চালিয়ে যাব।"
তিনি বলেন, "মানুষ আমাদের সুযোগ দিয়েছে বিধানসভার মধ্যে যাওয়ার। তাঁদের কথা সদনের মধ্যে বলার জন্য। ফলে আমাদের কাজ বিধানসভায় তাঁদের ইস্যু তুলে ধরা। কংগ্রেস দলের উচিত নিজেদের কেন এই হাল তা এবার ভেবে দেখার। বারবার এই অবস্থা কী করে হল, তা ভেবে দেখতে হবে। কংগ্রেসকে ভাবতে হবে, দিল্লির বাইরের নেতাদের গুরুত্ব দিতে হবে। আমি সুদীপ রায় বর্মণ, বীরজিত সিনহা এদের সঙ্গে কাজ করেছি। এরা জিতেছে এঁদের শুভেচ্ছা। কিন্তু দিল্লির নেতারা বছরে একবার করে আসবে তাতে উত্তর পূর্ব ভারতে কংগ্রেসের কোনও লাভ হবে না। এই সমস্যা ওনাদের ভিতরে তৈরি হয়েছে।"
advertisement
তিনি আরও বলেন, "বীরজিত সিনহা ও গোপাল রায়ের জয় দারুণ। গোপাল রায় রাজ্য সভাপতিকে হারালেন। বনমালীপুর বিপ্লব দেবের আসন ছিল। সেখানে গোপাল রায় জিতেছেন। ২০১৮ সালে আদিবাসী ভোট বিজেপি-আইপিএফটির দিকে ছিল। এবার সেই ভোট তিপ্রামোথার দিকে চলে এসেছে।"
আরও পড়ুন, সাগরদিঘির ফল নিয়ে বিস্ফোরক মমতা! বললেন, 'অনৈতিক জোট, বিজেপির ভোটও ওরা পেয়েছে'
আরও পড়ুন, নোটার থেকেও কম, ত্রিপুরায় ১ শতাংশ ভোটও পেল না তৃণমূল
কিশোর মাণিক্য জানান, "আদিবাসী নন এমন মানুষও আমাদের ভোট দিয়েছেন। এডিসি ভোটে ১৮ পেয়েছিলাম। ২০ আদিবাসী আসনে আমরা ১৩ টা, আইপিএফটি ১ টা পেল। ফলে এই ভোট কোনওভাবে বাকিদের দিকে গেল না।"