পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন এবং সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দফতরের যৌথ উদ্যোগে পুর ওয়ার্ডের সহায়তায় প্রজেক্ট মুসকানের (MUSKAAN) অধীনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও অভিযান খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ আমাদের বেটিদের রক্ষা করতে হবে। ভ্রূণ হত্যা একটা খুবই গর্হিত অপরাধ। আল্ট্রা সনোগ্রাফির মাধ্যমে পরীক্ষার পর ভ্রূণ হত্যা করা হয়ে থাকে। যেটা আমরা সবাই জানি। আর সেই পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যেতো যে ছেলে হবে না মেয়ে। এর জন্য আইন হয়েছে। মেয়েরা যদি না থাকে তবে সমাজ কী করে চলবে? কেন একচক্ষু নীতি থাকবে? তবে তো মানব সভ্যতাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও এর উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। শুধু বেটি বাঁচা নয়, তাকে পড়াশোনা করিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করাই এর অন্যতম লক্ষ্য। যাতে সে নিজের পায়ের উপর দাঁড়িয়ে আত্মনির্ভর হতে পারে। যেমন বিমানে ভ্রমনের সময়ে আমরা দেখি অনেক পাইলট মহিলা। আবার জিমন্যাস্টিক্স এর ক্ষেত্রেও মেয়েরাই এগিয়ে রয়েছে। পড়াশোনার ক্ষেত্রেও ইউনিভার্সিটি হোক বা টিবিএসই বা সিবিএসই ফলাফলের সময়ে প্রথম ১০ জনের মধ্যে মেয়েরাই থাকে। দেখা যায় মেয়েরাই ভাল রেজাল্ট করে।”
advertisement
আরও পড়ুন: যুগ বদলায়, সময় যায়, কিন্তু বনফুলের সেই ‘বুড়িটা’ আজও হতে থালে দু’টি টাকা আর কচুড়ির সন্ধানে শিয়ালদহে
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা আরও বলেন, কিছুদিন আগে টিএসআর জওয়ানদের পাসিং আউট প্যারেডে মহিলা জওয়ানরা খুবই ভাল প্রদর্শন করেছে। যা প্রত্যক্ষ করে আমিও অভিভূত হয়েছি।
তিনি বলেন, ”আমাদের মেয়েরা কোনও দিক দিয়ে কম নয়। নারীদের সবদিক দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার। কারণ একটা ঘরের মধ্যে যদি মেয়ে না থাকে তবে ঘর কোন অবস্থায় সুন্দর হতে পারে না। সমাজেও যদি মেয়েদের উপস্থিতি না থাকে তবে সেই সমাজ কখনো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। তবে কেন এটা ৫০: ৫০ হবে না? পরিসংখ্যানে সমান সমান হতে হবে। সব জায়গার মধ্যে ভারসাম্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবক্ষেত্রেই নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।
