এদিন আশিস দাস BJP-কে রীতিমতো তুলোধনা করে বলেন, ''মুখ এবং মুখোশ কোনটা বুঝে নিয়েছে মানুষ। ফলে মা মাটি মানুষকে সমর্থন করেছে তাঁরা।'' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের পরদিন এভাবেই মুখ খুললেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক মমতাকে প্রধানমন্ত্রী দেখার আশা ব্যক্ত করে বলেন, ''ইন্দিরা গান্ধির পর আবার একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায় ভারত। বাঙালি হিসেবে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই আমি নিজেও।
advertisement
''
সূত্রের খবর, আগামী কাল, মঙ্গলবার বিকেলে কালীঘাটে যজ্ঞ করবেন তিনি। কিন্তু কেন যজ্ঞ? ঘনিষ্ঠ মহলে ওই বিধায়ক জানিয়েছেন, বিজেপিতে যাওয়ার প্রায়শ্চিত্ত করবেন তিনি। তারপর আগামী ৬ তারিখ ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেবেন। ত্রিপুরার সুরমা বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক আশিষ দাস। দলকে এভাবে আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূলে যোগদানের বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে ত্রিপুরা বিজেপির অন্দরেও।
এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের উপর ধারাবাহিক হামলা, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে মিছিল করতে না দেওয়ার মতো ঘটনায় বিপ্লব দেব সরকারের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন আশিস। বলেছিলেন, 'ত্রিপুরায় নাকি আইনের শাসন আছে। যদিও সেটা দেখা যাচ্ছে না। এখানে একেক জনের জন্য একেক রকম আইন রয়েছে। যেটা বাস্তব, তার সত্যতা তো আমাকে স্বীকার করতে হবেই। আমি কারও পক্ষপাতিত্ব করছি না।"
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে এত ব্যবধানে কেন মমতার জয়, 'কারণ' জানিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ
প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে বিপুল জয়লাভের পর যে রাজ্যে তৃণমূল প্রথম ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তা হল ত্রিপুরা। আর সেখানে ঘাসফুল শিবির যতই সক্রিয় হয়েছে, ততই বিজেপির কোন্দল সামনে চলে আসছে। সুদীপ রায় বর্মন গোষ্ঠীর সঙ্গে বিপ্লব দেব গোষ্ঠীর সংঘাত এখনও চরমে। এই পরিস্থিতিতে দলেরই একজন বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চেয়ে সরাসরি কালীঘাটে এসে যজ্ঞ করে তৃণমূলে যোগ দিলে তা গেরুয়া শিবিরের আরও যে অস্বস্তি বাড়াবে, তা বলাই বাহুল্য।
