যদিও সোমবার থেকে চালু হয়ে গিয়েছে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্যায়। আর প্রথমদিনই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। সোমবার অধিবেশন শুরু হওয়া মাত্রই তুমুল হইহট্টগোল করতে থাকেন বিরোধী সাংসদরা। তখন প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছিল, কিন্তু প্রবল বাধার কারণে মুলতুবি হয়ে যায় শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই মুলতবি হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন। গত কয়েক সপ্তাহে জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আলোচনার জন্য স্লোগান দিতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদরা। এরপরই পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। বিরোধী সাংসদদের উদ্দেশে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, 'অধিবেশন শুরুর প্রথম দিনই আমি কঠোর পদক্ষেপ করতে চাই না।' যদিও তাতেও থামেনি হইহট্টগোল।
advertisement
কৃষক আন্দোলনের ইস্য়ুতেও এবার উত্তপ্ত হতে পারে অধিবেশন। ১০০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কৃষকদের সঙ্গে রফাসূত্র বেরোয়নি কেন্দ্রের। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার বিতর্কিত তিন কৃষি আইন সংশোধনে প্রস্তুত আছে বলে ফের জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। বিক্ষোভরত কৃষকদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও আলাদা করে উল্লেখ করেন তিনি। রবিবার (৭ মার্চ) কৃষি মন্ত্রকের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন তোমার। তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলগুলো কৃষকদের নিয়ে রাজনীতি করছে এবং কৃষকদের স্বার্থে আঘাত করছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, কেন্দ্রের প্রস্তাবিত নয়া কৃষি আইন গুলিতে দেশের অন্নদাতাদের কল্যাণের স্বার্থেই সংস্কারগুলি করা হয়েছে। তাঁর যুক্তি ছিল, গত বছর সেপ্টেম্বরে সংসদে পাশ হওয়া তিনটি কৃষি আইনের দ্বারা উপকৃতই হবেন দেশের কৃষকরা। কৃষিখাতে বিনিয়োগ বাড়াতেও সাহায্য করবে। সেই সময়ও উত্তাল হয়েছিল রাজ্য়সভা। এবারের অধিবেশনেও এই ইস্যুটি বাদ থাকবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।