গত জুলাই মাসের ২৩ তারিখ গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে ওই দিন টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটির বিলাসবহুল আবাসন ও বেলঘড়িয়ার আবাসন থেকে উদ্ধার হয় ৪৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও প্রায় ৫ কোটি টাকার সোনার গহনা করে ওই দিন। পরবর্তীকালে ইডির তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হওয়া সম্পত্তির খতিয়ানে মিলিখে কোটি কোটি টাকার হদিশ। এছাড়াও ৪০টি সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪০ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা। ৩৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মিলেছে ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকার হদিস মিলেছে বলে দাবি করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
advertisement
শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় কোটি কোটি টাকা, গহনা, স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যা মিলেছে তা সমস্ত টাকার অঙ্কে যোগ করলে হিসাবটা হয় ১০৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। ইডি-র তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে ২৩ শে জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত যা উদ্ধার হয়েছে এটি তার হিসাব। ইডির তরফে যে ছয়টি সম্পত্তির কথা বলা হয় তা হল, ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট, সিমবায়সিস মার্চেনাটস, অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেস, অনন্ত টেক্সফ্যাব, ভিউমোর হাইরাইস ও সেনেটি ইঞ্জিনিয়ার। চার্জশিটের কপি ছাড়াও বাজেয়াপ্ত নথি ও সাক্ষী মিলিয়ে পাতার সংখ্যা ১৪,৬৪০টি। ইডি তরফে দাবি করা হয়েছে সমস্ত বেনামি সম্পত্তি পার্থ ও অর্পিতার নামে, এবং সেখান থেকেই সুবিধা ভোগ করেছেন দুজনে। ইডির অনুমান শিক্ষা দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকা সেই সমস্ত বেনামি সম্পত্তিকে সামনে রেখে খাটানো হত।