একটা সময় ত্রিপুরায় জোড়া ফুলের সংগঠন সামলাতেন মুকুল রায়। যদিও ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে নাম লেখাতেই ত্রিপুরার তৃণমূল সংগঠন ভাঙতে শুরু করে। মুকুল রায় তৃণমূলের হয়ে সংগঠন সামলাতে শুরু করায় ত্রিপুরার অন্যতম নেতা সুদীপ রায় বর্মণ জোড়া ফুলের হয়ে রাশ ধরেন। যদিও তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই সুদীপ রায় বর্মণ চলে যান বিজেপি শিবিরে। সূত্রের খবর, একাধিক বিজেপি বিধায়ক তারা সুদীপ রায় বর্মণের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই সব বিজেপি বিধায়করা রাজ্যে এসে দেখা করতে পারেন তৃণমূল শীর্ষ নেতাদের সাথে। অনেকেই বলছেন তৃণমূল এবার শুরু করবে 'মিশন ত্রিপুরা'।তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, একাধিক রাজ্যে শীঘ্রই সংগঠন বিস্তার করতে চায় জোড়াফুল শিবির। সেই সংগঠন বিস্তারের জন্যে মুকুল রায় কাজ শুরু করতে পারেন।
advertisement
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরাতে বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপির একাংশ। সুদীপ রায় বর্মণের সাথে তারা রীতিমতো যোগাযোগ করেছেন। সুদীপ রায় বর্মণের তরফে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরাতে "বন্ধুর নাম ত্রিপুরা'' বলে একটি সংগঠন করেছেন। যার মাধ্যমে সমান্তরাল ভাবে সুদীপ রায় বর্মণ নিজের ছাপ রাখছেন। তৃণমূল চাইছে এই সংগঠনকে সাথে নিয়ে লড়াই করতে।তৃণমূলের একটি সূত্র অবশ্য বলছে, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কাউকে সামনে রেখেই এগোতে পারে দল। দলের অন্যতম সিনিয়র নেতা সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, "সব জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকে৷ রাজনীতিতে অজাতশত্রু বলে কিছু হয় না। আজ যারা বিজেপিতে থেকে ত্রিপুরায় তাদের বিরোধিতা করছে তারা একটা সময় কংগ্রেসে ছিল। তারপরে এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেসে। ফলে চেনা জানার জমি তৈরিই আছি। তাদের নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হতে পারে।" ফলে ত্রিপুরা নিয়ে নিজেদের জমি শক্ত করতে শুরু করেছে জোড়া ফুল শিবির। খেলা হবে, খেলা হবে ত্রিপুরাতে খেলা হবে। ত্রিপুরা কইতাসে মমতা দি আইতাসে। এই গানেই তাই মেতে উঠেছে গোটা ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহল। আর এই খেলা হবের মাঝেই ত্রিপুরা আসছেন দেবাংশু।