ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জমা পড়েছে। আগরতলা শহরের এক পাঁচ তলা হোটেলে গিয়ে উঠতেন তৃণমূল নেতারা। এছাড়া বেশ কয়েকটি হোটেলেও পালা করে থাকা শুরু করেছিলেন তারা। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে তাদের হোটেলে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি ব্যক্তিগত আলাপ আলোচনাতেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বিশেষ করে হেনস্থার শিকার হতে হয় সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh), ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়দের (Ritabrata Banerjee)। এই হোটেলেই অবশ্য সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, নয় সাংসদ, কুণাল ঘোষ সহ অনেকেই।
advertisement
আপাতত আগরতলার ওপর একটি হোটেলে বিভিন্ন সাংগঠনিক বৈঠক করা হয়েছে। তবে দলীয় আলোচনার জন্যে এই সব হোটেল যে যথাযথ নয় তা মেনে নিচ্ছেন নেতারা। তাই চেষ্টা করা হচ্ছে দলীয় কার্যালয় গঠনের।বনমালীপুরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিকের বাড়িতে একটা অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস তৈরি করা হয়েছে।
সেখানে প্রায় প্রতিদিন যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। তবে কোনও নেতার বাড়িতে থেকে দলীয় কাজ যথাযথ নয় বলেই অনেক নেতা মনে করছেন। আবার ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে জেলার একাধিক অফিসে কর্মী যোগ দিচ্ছে সেখানের কোনও একটা বাড়িতে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ভাবে কোনও কার্যালয় না থাকলে অসুবিধা। তাই চেষ্টা করা হচ্ছে সেটি গঠন করার। অন্যদিকে আজ থেকে সংগঠন ঢেলে সাজাতে কাজ শুরু করছেন সুস্মিতা দেব। তিনি জেলা ধরে ধরে বৈঠক করবেন। প্রচার থেকে শুরু করে মানুষের কাছে কোন কোন ইস্যুতে পৌছতে হবে তার রূপরেখা তৈরি করবেন সুস্মিতা দেব। সূত্রের খবর, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় খুব শীঘ্রই যেতে পারেন ত্রিপুরায়।