আরও পড়ুন- যাদের চাকরিতে রাখা হবে না সেই অগ্নিবীরদের দক্ষতার শংসাপত্র দেওয়া হবে: কেন্দ্র
তিনি অভিযোগ করেছেন, “এই বিধানসভা কেন্দ্রের সাধারণ মানুষের রাস্তাঘাট পর্যন্ত নেই। এলাকার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে আমার প্রচারের সময়, লোকেরা আমার কাছে এসে আমাকে বলেছে যে কী ভাবে তারা স্বাধীনতার পর থেকে ৫০ বছরেও সুন্দর রাস্তা দেখেনি।" এই কেন্দ্রে প্রচারে হাজির তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা যেমন সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্ত, বাপ্টু চক্রবর্তী, উত্তম বারিক এবং ফকরুদ্দিন। সুদীপ রাহা বলেছেন, “ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী একজন চিকিৎসক। তিনি কি কখনও নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং এখানকার মানুষকে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন? যুবরাজনগরে কোনও ব্লাড ব্যাঙ্ক না থাকায় লোকজনকে ১০ কিলোমিটার দূরে ধর্মনগরে ছুটে যেতে হয় চিকিৎসার জন্য। ত্রিপুরায় দেশের সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার ১৭.৪% যা, জাতীয় গড়ের থেকে অনেক বেশি। বিজেপির ডবল-ইঞ্জিন সরকার ত্রিপুরার জনগণকে কোনও চাকরি, রাস্তা, হাসপাতাল বা কোনও জন সেবা দেয়নি।”
advertisement
আরও পড়ুন- রাজ্যে অগ্নিপথের আঁচ! কলকাতা আসানসোল থেকে কোন কোন ট্রেন বাতিল হল দেখে নিন তালিকা
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে কী ভাবে বিধ্বস্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর পাশাপাশি, লালচেরা, ধুপিরবন্ড এবং উপখালির মতো গ্রামগুলিতে এখনও কলের জলের সংযোগ আসেনি, যার ফলে তাদের বাধ্য হয়ে পানীয় হিসাবে নোংরা জলের উপর নির্ভরশীল থাকতে হয়। মৃণালকান্তি দেবনাথ যোগ করেছেন, “তৃণমূল তথা আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে ক্ষমতায় এলে আমরা জনগণের জন্য লড়াই করব এবং তাদের সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করব। নির্বাচনী এলাকায় অনেক হাসপাতাল থাকলেও এসব হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই। বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। আমরা এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য কাজ করতে চাই।”সমীক্ষার মাধ্যমে স্থানীয়দের কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযোগপত্র তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আবীর ঘোষাল