তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC leader Abhishek Banerjee) দিন তিনেক আগেই কংগ্রেস ও চিদম্বরমকে আক্রমণ করে জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস যদি গোয়াতে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ব্যর্থ হয়, তবে চিদম্বরম, যিনি কংগ্রেসের রাজ্য নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরই উচিত হারের দায়িত্ব নেওয়া এবং পদত্যাগ করা। অভিষেক আরও জানিয়েছিলেন ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় নির্বাচনের জন্য প্রাক-নির্বাচনী জোটের জন্য একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব নিয়ে চিদম্বরমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল তৃণমূল।
advertisement
সাংবাদিকদের চিদম্বরম জানিয়েছেন, গোয়াতে কংগ্রেসের সঙ্গে প্রাক-নির্বাচনী জোটের জন্য তৃণমূলের তরফে প্রস্তাব ছিল। “তৃণমূলের তরফে একটি প্রস্তাব ছিল যে আমাদের গোয়াতে একটি জোট গঠন করা উচিত। (কিন্তু) তার আগে এবং পরে, কিছু ঘটনা ঘটেছে,” বলেন প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা।
আরও পড়ুন- গোয়ায় প্রচারে যাবেন মমতা-অভিষেক, তৈরি তারকা প্রচারের তালিকা
চিদম্বরমের অভিযোগ, উপকূলীয় এই রাজ্যে কংগ্রেস নেতাদের দল ভাঙাতে চেয়েছে তৃণমূল। “তারা লুইজিনহো ফালেইরোকে প্রস্তাব দিয়েছে, এবং এমনকী জোটের প্রস্তাবের পরেও তারা অ্যালেইক্সো রেজিনালদো লরেঙ্কোকে দলে টানতে চেয়েছে, যার নাম কংগ্রেসের প্রার্থীদের প্রথম তালিকায় ছিল। তারা মোরমুগাও এবং ভাস্কোর মতো অন্যান্য নির্বাচনী এলাকাতেও একই চেষ্টা চালাচ্ছে,” বলেন তিনি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, এই ঘটনার পরে তিনি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে জোটের প্রস্তাব বিষয়ে কোনও নির্দেশ পাননি।
আরও পড়ুন- সনিয়াকে ফোন করেছিলেন মমতা, বলেছিলেন জোটের কথা, মেলেনি সাড়া, দাবি তৃণমূলের
তাঁর বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে চিদম্বরম বলেন, “আমি তৃণমূল দলের একজন সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে নাম জড়াতেই চাই না। আমি কংগ্রেস দলে একজন সম্মানীয় অবস্থানে রয়েছি এবং এই বিষয়ে তাই মন্তব্য করতে চাই না।” তিনি জানান কংগ্রেস গোয়ায় প্রাক-নির্বাচনী জোট নিয়ে শিবসেনা এবং এনসিপি নেতাদের প্রস্তাব দিলেও পরে বিষয়টি নিয়ে এগনো হয়নি।
গোয়াতে ৪০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য হাত মিলিয়েছে শিবসেনা এবং এনসিপি। অন্যদিকে যখন কংগ্রেস গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির (জিএফপি) সঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করবে। তৃণমূল মহারাষ্ট্রবাদী গোমান্তক পার্টির (এমজিপি) সঙ্গে জোট বেঁধেছে।