প্রসঙ্গত কোনওরকম আলোচনা না করেই কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে একের পর এক বিল পাস করিয়ে নিচ্ছে সংসদে, তার সমালোচনা করতে গিয়ে পাপড়ি চাট বানানোর সঙ্গে তুলনা টেনে সোমবার ট্যুইট করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন৷ কটাক্ষের সুরে তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'সরকার বিল পাস করছে না পাপড়ি চাট তৈরি করছে?'
advertisement
একই মন্তব্য তৃণমূলের লোকসভার মুখ্য সচেতক কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। কল্যাণের কথায়, 'বোঝাই যাচ্ছে ডেরেক ও ব্রায়েনের পাপড়ি চাট মন্তব্য নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপিকে বড় ব্যথা দিয়েছে। কিন্তু যে প্রসঙ্গে ডেরেক এই মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে নরেন্দ্র মোদি চুপ কেন?'
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাল্টা জবাব, 'তৃণমূল দলটাই পাপড়ি চাটের দল তাই ওরা পাপরি চাট খাচ্ছে। সরকার সব বিষয়ে আলোচনায় প্রস্তুত। কিন্তু, বিরোধীরা পেগাসাস গালগল্প নিয়ে হাজির হয়েছে। সংসদে অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই নানা আজগুবি ইস্যুতে শোরগোল তুলে অধিবেশন ভণ্ডুল করছে। দেশের মানুষ সব দেখছে৷ যোগ্য জবাব পাবে বিরোধীরা।'
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে যখন কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে প্রাতঃরাশ করছেন রাহুল গান্ধি, তখন সংসদের লাইব্রেরি হলে বিজেপি-র সংসদীয় দলের বৈঠকে ডেরেকের মন্তব্য নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর অভিযোগ, ‘একজন বর্ষীয়ান সাংসদ যে মন্তব্য করেছেন তা খুবই নিম্নমানের৷ উনি দেশের সংসদকে অপমান করেছেন। বোঝা যাচ্ছে বিরোধীরা কীভাবে সংসদের অমর্যাদা করছেন৷'
প্রধানমন্ত্রীর কথার সূত্র ধরেই সংসদের ভিতরে সোচ্চার হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী, মুক্তার আব্বাস নকভির মতো বিজেপি নেতারা৷ তাঁদের দু' জনেরই দাবি, এই মন্তব্যের জন্য রাজ্যসভায় দু:খপ্রকাশ করতে হবে তৃণমলের দলনেতা ডেরেককে৷ এতসবের পর ডেরেকের বক্তব্য, 'পাপড়ি চাট না বলে গুজরাটি ধোকলা বললে কি প্রধানমন্ত্রী খুশি হতেন ? আমি অত্যন্ত গুরুতর বিষয় উল্লেখ করেছি। মাত্র ৮৪ মিনিটে ১২টি বিল পাশ হয়েছে। একটি বিলের জন্য মাত্র ৭ মিনিট! প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর মন্ত্রীরা এই বিষয়ে জবাব দিলে ভালো হত। তবে গতকাল ওই ট্যুইটের পর আজ একটি বিল পাস করতে ৪০ মিনিট সময় ব্যয় করেছে সরকার।"