জানা গিয়েছে, এ দিন সংসদে ভিজিটর্স গ্যালারি থেকে নীচে লাফ দিয়ে এবং প্রতিবাদ করে যে দুই যুবক গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের লোকসভায় প্রবেশের পাস দেওয়া হয়েছিল মাইসুরুর বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার অফিস থেকে৷ এই তথ্য সামনে আসার পরই বিজেপি সাংসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা৷ তৃণমূল কংগ্রেস তো মাইসুরুর বিজেপি সাংসদের বহিষ্কার দাবি করেছে৷
advertisement
তবে এই ঘটনার পরই মাইসুরুর বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর সঙ্গে দেখা করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা৷
আরও পড়ুন: কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র সহ ধৃত ৪! জানা গেল সংসদ কাণ্ডে ধৃতদের পরিচয়
বিজেপি সাংসদের বহিষ্কারের দাবি তুলে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আজকে যারা আক্রমণ করল তারা তো সাংসদ নন৷ নিরাপত্তার বেষ্টনী ভেঙে কী করে সংসদে ঢুকে পড়লেন এঁরা? বিজেপি সাংসদ প্রবেশ করার জন্য এদের পাস দিলেন৷ জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হল৷ এই বিজেপি সাংসদকে বহিষ্কার করা হবে? দল ও লোকসভা উভয়েই বলবে৷ যেখানে আইন প্রণয়ন হয় সেখানেই এই অবস্থা৷ আমাদের এই উত্তর চাই, বহিষ্কার হবে কিনা? তৃণমূল কংগ্রেস মানে ধরো ধরো। আর অন্যক্ষেত্রে দেখব না এটা হবে না।’
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও বলেছেন, ‘বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত৷ যারা আজকে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তারা তাঁর পরিচিত হতে পারেন৷ তাদের যদি উনি নাই চেনেন, তাহলে পাস দিলেন কেন? ওঁর দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য কোনও বিপদ ঘটলে সেটা তো শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷’ ধৃতদের মধ্যে একজন সিমহার সাংসদ এলাকার বাসিন্দা বলেই পুলিশ সূত্রে খবর৷’
৪২ বছর বয়সি প্রতাপ সিমহা ২০১৪ সালের পর ২০১৯ সালেও মাইসুরু থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন৷ প্রাক্তন সাংবাদিক সিমহা ২০০৭ সালে মোদির জীবনী নিয়ে একটি বই লিখেছিলেন৷