কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও টাইগার রিজার্ভের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে সেই ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘বাগোরি রেঞ্জের বান্দার ধুবি এলাকায় একটি গন্ডার ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর শুয়ে ছিল। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতায় তাকে রক্ষা করা হয়েছে । ধীরগতিতে গাড়ি চালান।'
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রবল বৃষ্টিতে ব্রহ্মপুত্র নদ ফুঁসছে৷ বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে৷ যার ফলে ২৬টি জেলা চলে গিয়েছে জলের তলায় ৷ ৩৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ বন্যা কবলিত ৷ গ্রামের পর গ্রাম, চাষের জমি, বন্যপ্রাণী-- ব্রহ্মপুত্রের গ্রাসে ৷ পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, মানুষ ও বন্যপ্রাণী একই ছাদের তলায় আশ্রয় নিচ্ছে প্রাণের তাগিদে৷ কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও টাইগার রিজার্ভের অসংখ্য পশু অসহায় অবস্থায় প্রাণ হারাচ্ছে ৷ কেউ আবার বাঁচার জন্য চালাচ্ছে মরিয়া চেষ্টা ৷ ৮৬টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে বন্যায়৷ সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজিরাঙা জঙ্গলের ৮৫ শতাংশের বেশি অংশই জলের নীচে৷ ২৩৩টির মধ্যে ৮০টি শিকার-দমন ক্যাম্প ভেসে গিয়েছে জলে৷
advertisement
কাজিরাঙা জঙ্গলের বাসিন্দা বয়স্ক ওই গন্ডারটি প্রাণ ভয়ে পালাতে পালাতে এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল যে জাতীয় সড়কের গাড়ি, মানুষ কোনও কিছুর ভয় তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি ৷ ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বয়সভারে ও শারীরিক ক্লান্তিতে অসহায় গন্ডারটি রাস্তার মাঝেই ঘুমিয়ে পড়েছে ৷ বন দফতরের কর্মীরা গন্ডারটিকে বাঁচিয়ে গাড়িগুলির চলার পথ করে দিচ্ছে এবং চালকদের কাছে অনুরোধ করছে যাতে ক্লান্ত প্রাণীটিকে কোনওভাবে বিরক্ত না করা হয় ৷
সরকারি সূত্রে খবর, বন্যায় মৃত প্রাণীদের মধ্যে ৬টি একশৃঙ্গ গন্ডারও রয়েছে ৷ বন্যার ভয়ে পালাতে গিয়ে গাড়ি চাপা পড়ে মারা গিয়েছে ১৪টি হরিণও ৷ ১৭৩টি প্রাণীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে ৷