এই প্রথমবার স্বাধীন ভারতে একসঙ্গে চারজনের ফাঁসি হবে। আর সেই কারণেই বুধবার তিহারের ফাঁসি কাঠ পরীক্ষা করে দেখা হল। ছিলেন ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ। জেলের নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পবন ফাঁসির যাবতীয় ব্যবস্থা দেখলেন।
বিহার ও বস্কা থেকে ১০ টি দড়ি এসেছে তিহার জেলে। একটা বড় থামের মাঝে সেই দড়ি বেঁধে বৃহস্পতিবার বিকেলে শেষ বারের মতো পরীক্ষা করে নেবেন ফাঁসুড়ে। তারপর সেই ঝোলানো দড়িতেই ফাঁসি হবে তিনজনের।
advertisement
মেরঠের বাসিন্দা পবন উত্তরপ্রদেশের জেলের কর্মী। তিহার জেলে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে ফাঁসির কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য। প্রতিটি ফাঁসির জন্য তাঁকে দেওয়া হবে ১৫ হাজার টাকা। শুক্রবার কাকভোরে ফাঁসির সময় পবনের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন জেলের কয়েকজন নির্বাচিত অধিকারিক।
জেলের এক অফিসার জানিয়েছেন, ‘সন্ধ্যেবেলায় শেষবারের মতো ফাঁসিকাঠ পরীক্ষা করা হবে। জেলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট অপরাধীদের সঙ্গে একবার কথা বলবেন। জিজ্ঞাসা করবেন, অপরাধীরা কী চিঠি লিখতে চায় নাকি তাদের কোনও শেষ ইচ্ছা আছে। তারপর জেলের মানসিক চিকিৎসক অপরাধীদের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপরেই ফাঁসি হবে।’ সকাল সাড়ে ছ’টার আগেই ফাঁসি হয়ে যাবে বলে শোনা যাচ্ছে।
এই চার অপরাধী তিহার জেলের তিন নম্বর কয়েদখানায় রয়েছে। ফাঁসি কাঠ থেকে যা কয়েকহাত দূরে। জেলের আধিকারিকরাই নাম না করে জানাচ্ছেন, কদিন আগেও ফাঁসির একের পর এক আদেশ আসছিল। কিন্তু অপরাধীরা আনন্দেই ছিল। মনেই হচ্ছিল না তাদের ফাঁসি হতে পারে। তবে কাল থেকে হঠাৎ ওদের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জেলের কর্মীদের সঙ্গেও ওরা কথা বলছে না। নিজের শেষ ইচ্ছার কথাও তারা স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।