রোহতা গ্রামের বাসিন্দা কাজল নিজের প্রথম স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরেই যখন তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন তখন তিনি তাঁর প্রেমিককে ডেকে আনেন। সেই সময় আকাশ এবং তাঁর বন্ধু বাদল ওই স্থানে উপস্থিত হন। এরপরে তিনজনে মিলে অনিলকে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে সিয়ালখাস গঙ্গা নালাতে ফেলে দেয়। কাজল এরপরে তাঁর স্বামী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে দাবি করেন।
advertisement
৩২ বছর বয়সী অনিল পেশায় কুমোর ছিলেন। ২৫ অক্টোবর থেকে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর বড় দাদা রাজু রোহতা পুলিশ স্টেশনে নিখোঁজ ডায়রি করেন।
কল রেকর্ডের ভিত্তিতে কাজল, আকাশ এবং বাদলকে অভিযুক্ত করা হয়। ৫ নভেম্বর রাজু অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন।
এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই রসুলপুরের মাধি গভর্নমেন্ট স্কুলের কাছ থেকে আকাশ, বাদলকে রোহতা পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপরেই তাঁদের জেরা করে কাজলকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে এসপি গ্রামীণ অভিজিত কুমার জানান, কাজল এবং আকাশ দু’বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন। যখন অনিল এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন তখনই বাদলের সঙ্গে অনিলকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা বানান তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় মার্কেট থেকে ওষুধ কিনে আনে আকাশ। কাজল অনিলকে রাতে ছ’টা ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন।
এরপরেই সিয়ালখাস গঙ্গানাহার ব্রিজের কাছে কাজলের ওড়না উদ্ধার করে পুলিশ। একইসঙ্গে বাকি ঘুমের ওষুধ পাওয়া যায় কাজলের ঘর থেকে। গঙ্গা নালায় ডুবুরি নামানো হয়। একইসঙ্গে গাজিয়াবাদ পুলিশ যোগাযোগ করে জানায় অজ্ঞাতপরিচয় একটি দেহ পাওয়া গিয়েছে।
তিন অভিযুক্তকেই আপাতত আদালতের সামনে হাজির করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
