এই জনসভায় দাঁড়িয়ে মোদি দাবি করেন, আমাদের সংকল্প যারা দেশকে লুটেছে, উন্নয়ন স্তব্ধ করেছে তারা যেন উচিত শাস্তি পায় ৷ এই সরকারের আগে কখনও দেশে উন্নয়ন এত দ্রুত গতিতে হয়নি ৷’
বিপুল জনমতের সমর্থনে ক্ষমতায় ফিরে মোদি সরকার পার্লামেন্টের বাদল অধিবেশনে একের পর এক বিল দ্রুততার সঙ্গে পাশ করিয়েছে ৷ প্রথম কয়েক সপ্তাহেই বিতর্কিত তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিল, তথ্য জানার অধিকার আইনের বিল সহ একাধিক বহুল আলোচিত বিল কোনও বিরোধিতা ছাড়াই পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্র ৷ স্বাধীনতার সময় থেকে চলে আসা ৩৭০ ধারা কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার মোদি সরকারের অন্যতম বড় পদক্ষেপ ৷
advertisement
যদিও বিরোধীরা সরকারের এই ১০০ দিনের সাফল্য মানতে নারাজ ৷ তাদের মতে, মন্দায় ধুঁকছে দেশ ৷ বৃদ্ধির হার প্রথম তিনমাসেই ৫ শতাংশ, যা গত ৬ বছরে সর্বনিম্ন ৷ পাঁচের পর একটা দুটো নয়, এক ডজন শূন্য ৷ তাও আবার টাকা নয়, ডলার ৷ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির স্বপ্ন দেখাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর জন্য দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার লাগাতার আট শতাংশের উপর থাকতে হবে। কিন্তু তা আর হচ্ছে কই। উল্টে বৃদ্ধির হার কমে হল পাঁচ শতাংশ। যা গত ৬ বছরে সর্বনিম্ন।
কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের এপ্রিল-জুন, এই তিন মাসে জিডিপি ছিল ৮ শতাংশ ৷ যা চলতি আর্থিক বছর কমে হল ৫ শতাংশ ৷ এর আগের তিনমাসে অর্থাৎ, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চেও জিডিপি ছিল ৫.৮ শতাংশ ৷ এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারি-মার্চে বৃদ্ধির হার ৪.৩ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছিল। তারপর এই প্রথম জিডিপি এত কম।
জিডিপি এ ভাবে কমার পিছনে একাধিক কারণ তুলে ধরছেন বিশেষজ্ঞরা।গাড়ি থেকে বিস্কুট, বিভিন্ন ক্ষেত্রেই উৎপাদন কমেছে। চাহিদা না থাকায় বাজারের বেহাল অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগেরও আকাল। যার জেরে অর্থনীতি ঝিমোচ্ছে। জিডিপিও তলানিতে। অটোমোবাইল সেক্টর থেকে প্রতিটি শিল্প ক্ষেত্রে কাজ হারাচ্ছেন কর্মীরা ৷ একইসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরে কার্ফু জারি নিয়েও সরকারের সমলোচনায় বিরোধীরা ৷