২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে জম্মু কাশ্মীরের বাতহাল গ্রামে একমাসের মধ্যে ১৭ জনের মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল৷ পরিস্থিতি এতটাই আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে ওই এলাকায় প্রবল বিধিনিষেধ চালু করেছিল প্রশাসন৷ বহিরাগতদের এলাকায় প্রবেশ বন্ধ করতে হয়েছিল৷ আক্রান্ত পরিবারগুলিকে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়৷ হস্তক্ষেপ করে সেনাও৷ কীভাবে এই রহস্যময় রোগ ছড়িয়েছিল, তা ধরতেই কালঘাম ছুটে গিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক এবং প্রশাসনিক কর্তাদের৷
advertisement
অনেকটা একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ছত্তীসগড়ের ধানিকর্তা গ্রামে৷ জেলা সদর সুকমা থেকে ৩০ কিলোমিটার এবং রাজধানী রায়পুর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ধানিকর্তা গ্রামে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তাতেও প্রশাসনিক কর্তাদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে৷ ওড়িশা সীমান্ত সংলগ্ন এই গ্রামে প্রায় ঘরে ঘরে মানুষ এই রহস্যজনক রোগে আক্রান্ত৷
সুকমার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কপিল দেব জানিয়েছেন, সাধারণত ঋতু পরিবর্তনের সময় মহুয়া সংগ্রহ করতে গিয়ে এই রোগ ছড়িয়ে থাকতে পারে৷ ওই স্বাস্থ্য কর্তা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এই রহস্যময় রোগে পাঁচ জনের মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছে৷ বছরের এই সময় মহুয়া সংগ্রহে সারাদিন জঙ্গলে থাকেন এই গ্রামের অনেক বাসিন্দা৷ তার ফলে আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাবে শরীর জলশূন্য হয়ে গিয়েই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে স্বাস্থ্য দফতরের প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে৷
পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্রামে মেডিক্যাল ক্যাম্প খোলা হয়েছে৷ গ্রামবাসীদের দেওয়া হচ্ছে ওআরএস৷ বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন কি না, তার খোঁজ নিচ্ছেন সরকারি চিকিৎসকরা৷
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, প্রিয়জনদের হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ছত্তীসগড়ের ধানিকর্তা গ্রামের বাসিন্দারা৷ এই রোগের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন এক ব্যক্তি, এমন ভিডিও-ও ছড়িয়ে পড়েছে৷
