ভারভারা রাও, গৌতম নওলখা, সুধা ভরদ্বাজ, অরুণ ফেরেরা ও ভার্নন গঞ্জালভেস - মাওবাদী যোগ এবং প্রধানমন্ত্রীকে খুন করার ষড়ন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে এই পাঁচ সমাজকর্মীকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকেই দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড়। গ্রেফতার করলেও কাউকে হেফাজতে নিতে পারেনি বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রের পুলিশ। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, সর্বত্রই তাদের মুখ পুড়েছে। ধৃতদের গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
advertisement
এর পর আরও সরব হন সমাজকর্মী, লেখক-কবি-সাহিত্যিকরা। বিরোধীরাও একযোগে নিশানা করছে মোদি সরকারকে। এই প্রেক্ষাপটে, এবার সাংবাদিক বৈঠক করে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় মহারাষ্ট্র পুলিশ। গ্রেফতারির পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে শুক্রবার, মহারাষ্ট্র পুলিশ ফের দাবি করল, ধৃতদের বিরুদ্ধে নাকি মাও যোগের স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। ঘুরে ফিরে সেই একই দাবি এবং তার স্বপক্ষে ঘুরে ফিরে সেই একই নথি তুলে ধরল মহারাষ্ট্রের পুলিশ।
আরও পড়ুন
‘ডিএ সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার’, স্যাটের রায় খারিজ করে জানাল হাইকোর্ট
এ বছর ১ জানুয়ারি দলিতদের ২০০তম বিজয় দিবস উপলক্ষে মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁওয়ের উৎসবে সংঘর্ষ বাধে। এক জন নিহত হন। জখম হন অনেকে। সেই সংঘর্ষের তদন্তে নেমে জুন মাসে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুণে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক সোমা সেন, আইনজীবী সুরেন্দ্র গ্যাডলিং, সমাজকর্মী সুধীর ধাওয়ালে, মানবাধিকার কর্মী রোনা উইলসন এবং উচ্ছেদ-বিরোধী আন্দোলনের কর্মী মহেশ রাউত।
৮ জুন পুণের এক আদালতে পুলিশ দাবি করে, উইলসনের বাড়ি থেকে পাওয়া একটা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ছক কষা হয়েছে। পুলিশের দাবি, চিঠিতে আরও বলা ছিল, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে 'রাজীব গাঁধীর মতো' শেষ করে দিতে হবে। চাপে পড়ে সেই নথিই ফের এ দিন তুলে ধরল মহারাষ্ট্র পুলিশ।
এদিকে, আইনজীবী সুরেন্দ্র গ্যাডলিং-এর স্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ধৃত পাঁচজনকে যেভাবে গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, একই অভিযোগে গত জুন মাসে ধৃত পাঁচজনের জন্যেও সেই একই নির্দেশ দেওয়া হোক।