advertisement
সনিয়ার বক্তব্য, প্রতিদিন ভারতের বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে, হয় পুলিশ, না হলে বিজেপির লুম্পেনরা হামলা করছে৷ তাঁর কথায়, 'গতকাল জেএনইউ-এর ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের উপর হাড়হিম করা হামলা দিল্লিবাসীকে রিমাইন্ডার, এই সরকার এ ভাবেই গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করতে থাকবে৷ ছাত্র ও যুবকদের এখন শিক্ষা, চাকরি, উজ্জ্বল ভবিষ্যত্ প্রয়োজন৷ এগুলি গণতন্ত্রের অধিকার৷'
শুধু কংগ্রেসই নয়, জেএনইউ-য়ে হামলার নিন্দায় সরব বিজেপি-র এক সময়ের বন্ধু শিবসেনাও৷ শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের কথায়, 'জেএনইউ-এর উপর এই হামলা আমায় ২৬/ ১১ মুম্বই হামলার কথা মনে করিয়ে দিল৷ এই দেশে ছাত্র-ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে৷'
জেএনইউ-এর ঘটনা নিয়ে সোমবার একটি প্রেস বিবৃতি জারি করেন রেজিস্ট্রার প্রমোদ কুমার৷ সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে জেএনইউ ক্যাম্পাসে লাগাতার তাণ্ডব চালাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা৷ বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার বিরোধী ছাত্র-ছাত্রীরা রেজিস্ট্রেশনে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের বাধা দেয়৷ ৩ জানুয়ারি থেকে মুখ ঢেকে হামলা চালাচ্ছে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা৷ রেজিস্ট্রেশন অফিস ভাঙচুর করা হয়৷ তছনছ করা হয় কম্পিউটার, সার্ভার৷ ক্লাস করতেও বাধা দেয়৷ ৫ জানুয়ারি আন্দোলনকারীরা প্রথমে হস্টেলে হামলা চালায় নবাগতদের উপর৷ নিরাপত্তাকর্মীদেরও মারধর করা হয়৷ দু দলের ছাত্রদের সংঘর্ষ রুখতে পুলিশ ডাকে কর্তৃপক্ষ৷ পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়৷