অনন্তনাগের বাসিন্দা আলতাফ মীর ৯০ এর দশকের কিছু মানুষের উস্কানিতে দেশ বিরোধী কার্যকলাপ সহ উগ্রপন্থার রাস্তা বেছে নিয়েছিল ৷ পাক সীমান্ত পার করে মীর একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগ দিয়েছিলেন ৷ পরবর্তীকালে বিবেকের জাগরণে অন্যায়ের রাস্তা থেকে স্থায়ী ভাবে সরে এসেছিলেন তিনি ৷
এখন তাঁর জীবনের চলার রাস্তাই হল প্রেম, শান্তি ও সম্প্রীতির ৷ তিনি এখনও কোক স্টুডিওর মোস্ট হ্যাপেনিং পার্সোনালিটি ৷ সকাল-সন্ধে কোক স্টুডিও মেতে ওঠে আলতাফ মীরের কণ্ঠে কাশ্মীরি লোকগীতির সুরে ৷ কাশ্মীরি ভাষায় প্রায় ২ হাজারেরও বেশি গজল ও কবিতা লিখেছেন তিনি ৷
advertisement
তাঁর মা জনা বেগম মন্তব্য আলতাফ তাঁর বড় ছেলে ২৮ বছর আগে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল ৷ ছেলের সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার খবর তাঁর মাকে গভীর ভাবে মর্মাহত করেছিল ৷ তিনি জীবনের কাছ থেকে সব আশা ত্যাগ করেছিলেন ৷ তবে কয়েক বছর আগে ছেলের জীবনের মূলধারায় ফিরে আসার খবর মাকে তৃপ্ত করেছে ৷ আজ তিনি খুব খুশি ছেলের চোখে দেশপ্রেম দেখে ৷
এই ঘটনাকে তিনি চমৎকার বলবেন ? না এর অন্য কোনও নাম দেবেন ? ঈশ্বরের অশেষ কৃপার জন্যই ছেলেকে নতুন করে ফিরে পেয়েছেন তাঁর মা ৷ সঙ্গে নতুন করে দেশপ্রেমিক পেয়েছে দেশ ৷ আগে মানুষকে খুন করতেন আর এখন মানুষকে প্রেম করেন তিনি ৷
কপি সৌজন্যে : আকাশ হাসান ৷
আরও পড়ুন : ছেলেধরা সন্দেহে গণপ্রহারে মৃত ১, গুরুতর আহত ২, ভরপুর উত্তেজনা এলাকায়