কর্ণাটকের হীলালিগে গ্রামে ঘটে গেল এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত—এই সন্দেহে এক যুবক কাস্তে দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে নিজেই পৌঁছে গেল থানায়। ব্যাগ খুলে পুলিশকর্মীরা যা দেখলেন, তাতে মুহূর্তের জন্য নিস্তব্ধ হয়ে যায় গোটা থানা।
advertisement
জলে থাকে না এই ‘মাছ’! জল স্পর্শ না করেই পার হয়ে যায় মরুভূমি…একের পর এক দেশ! জানেন কোন মাছ?
শুক্রবার রাতে বেঙ্গালুরুর উপকণ্ঠে হীলালিগে গ্রামে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্তের নাম শঙ্কর (২৬)। স্ত্রী মানসার সঙ্গে তাঁর পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল। রয়েছে চার বছরের একটি কন্যাসন্তানও। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পরস্পরের মধ্যে মনোমালিন্য বাড়ছিল। শঙ্কর পুলিশের কাছে জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ করছিল সে।
ভয়ঙ্কর সেই রাত…
জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে মনোমালিন্যর জেরে রাগ করে শ্বশুরবাড়ি চলে গিয়েছিলেন মানসা। তবে শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ তিনি আবার ফিরে আসেন—বাচ্চার ভবিষ্যতের কথা ভেবে সম্পর্কটাকে আবার জোড়া লাগাতে চেয়েছিলেন। তিনি পরকীয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
কিন্তু কথা কাটাকাটি চরমে পৌঁছাতেই, শঙ্কর হঠাৎই ঘরের এক পাশে রাখা কাস্তে তুলে নেয় এবং ঝাঁপিয়ে পড়ে স্ত্রীর উপর। ভয়ঙ্কর রাগের বশে তিনি স্ত্রীর গলা কেটে দেন। শরীর পড়ে থাকে বাড়িতেই। স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু একটি ব্যাগে ভরে স্কুটারে চাপিয়ে নিয়ে সে হাজির হয় থানায়।
থানায় নৃশংস স্বীকারোক্তি
ঘটনাটির বর্ণনা দিয়ে এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন—রক্তমাখা জামাকাপড় পরে, কাঁপতে কাঁপতে থানায় প্রবেশ করে শঙ্কর। হাতে বড়সড় একটি ব্যাগ। সে শুধু বলল, “স্যার… আমার স্ত্রী…”। যখন ব্যাগটি খোলা হয়, তখনই চোখে পড়ে স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু। থমকে যায় পুরো পুলিশ স্টেশন।
পরিকল্পিত খুন?
তদন্তে উঠে এসেছে, কয়েকদিন আগেই শঙ্কর তাঁর বাড়ির পাশের একটি দোকান থেকে কাস্তেটি কিনে এনেছিল। পুলিশের অনুমান, এটি কোনও হঠাৎ হওয়া খুন নয়—বরং পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
এই ঘটনায় শঙ্করের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চলেছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত।