২০১৭ সালের নভেম্বরে মূল সহায়তাকারী নির্মাণের জন্য বেস সাপোর্টগুলি সম্পূর্ণ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। চেনাব নদীর উপর নির্মিত এই রেলওয়ে আর্চ ব্রিজটির উচ্চতা ৩৫৯ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ১,৩১৫ মিটার। মেঘের ওপর খিলান আকৃতির এই সেতুটি কোনও বিস্ময়ের চেয়ে কম নয়। এই রেলওয়ে আর্চ ব্রিজটির বিশেষত্ব হল এর উচ্চতা ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ৩৫ মিটার বেশি। এর পাশাপাশি এই সেতুর উচ্চতা চিনের বেপান নদীর ওপর নির্মিত ডুগ সেতুর উচ্চতার চেয়েও বেশি। চেনাব সেতু মেঘের উপরে বিশ্বের সর্বোচ্চ খিলান।
advertisement
ছবিতে এই সেতুর উচ্চতা এমন যে এর নীচে মেঘও দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় রেলওয়ে ২০২১ সালের এপ্রিলেই সেতুটির চূড়ান্ত খিলান বন্ধ করার কাজটি সম্পন্ন করেছিল। এই সেতুটির মূল উদ্দেশ্য হল কাশ্মীর উপত্যকার সংযোগ বৃদ্ধি করা। একই সঙ্গে এই সেতুতে এমনভাবে ট্র্যাক বসানো হবে যাতে ট্রেনটি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে দৌড়তে পারে। অন্যদিকে, উত্তর রেলওয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল সংযোগের ১১১ কিলোমিটারের সবচেয়ে কঠিন অংশটি সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৮ বছরের অপেক্ষা, এক মিনিট ৩২ সেকেন্ডে সম্পন্ন হল চেনাবের গোল্ডেন জয়েন্ট
যেখানে চেনাব সেতু তৈরি হচ্ছে তার চারপাশের পাহাড়ের জমি বেশ কাঁচা। এমতাবস্থায় কাঁচা পাহাড় আর পাথরের মধ্যে এত বড় সেতু নির্মাণ নিজের মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত ও অলৌকিক ঘটনা। এখন এই সেতু নির্মাণের কাজ শেষের পথে। জানা গিয়েছে, -১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাও এই সেতুর উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।
আরও পড়ুন: জম্মু কাশ্মীরে সরকারি চাকরি করতেন সন্ত্রাসবাদী বিট্টা কারাতের স্ত্রী, হিজবুল নেতার ছেলে! বরখাস্ত ৪
এই সেতুটি ঘণ্টায় 250 কিলোমিটারের বেশি বেগে চলাচলকারী বায়ুকে সহজেই সহ্য করবে। একইসঙ্গে সন্ত্রাস ও অন্য যে কোনও ধরনের হামলা থেকে সেতুটিকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেতুর এক পাশের পিলারের উচ্চতা প্রায় ১৩১ মিটার।