মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদি জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে ট্রাম্পকে প্রাণে মারার চেষ্টা হয়। কিন্তু তিনি ভয় পাননি। মোদির কথায়, ট্রাম্প “আমেরিকার জন্য নিবেদিতপ্রাণ। তিনি এই জাতির জন্য জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন। তাঁর কথাবার্তা, আচার আচরণে ফুটে ওঠে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’। ঠিক যেমন আমি বিশ্বাস করি ‘নেশন ফার্স্ট’। সবার আগে আমার দেশ। এটাই আমাদের বেঁধে রেখেছে।“রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ডেমোক্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে বিপুল ব্যবধানে হারিয়েছেন ট্রাম্প। দ্বিতীয়বারের জন্য বসেছেন প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে। তারপর থেকেই একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তও নিচ্ছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে ফ্রিডম্যান জিজ্ঞেস করেন, নেতা এবং বন্ধু হিসেবে ট্রাম্পের কোন গুণগুলো মোদি পছন্দ করেন। জবাবে এক লাইনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আরও কড়া, আরও দক্ষ নেগোশিয়েটর।“
advertisement
সাক্ষাৎকারে ‘হাউডি মোদি’-এর প্রসঙ্গও ওঠে। মোদি জানান, হাজার হাজার লোকের সামনে নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করে ট্রাম্প চলে এলেন। তাঁর কথায়, “সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া মুহূর্ত। পারস্পরিক বিশ্বাসের প্রতিফলন।“ আমেরিকায় এটা ভাবাও যায় না। মোদি বলেন, “হাজার মানুষের ভিড়ের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্রপতি হেঁটে যাচ্ছেন, আমেরিকায় এই দৃশ্য কল্পনাতীত। কিন্তু ট্রাম্প কোনও কিছু না ভেবে আমার সঙ্গে হাঁটতে শুরু করেন। ওই মুহূর্তটা আমার মনে থাকবে।“
এরপরই ট্রাম্পের সাহসিকতার প্রশংসা করে মোদি বলেন, “কতটা সাহসি হলে এই কাজ করা যায়! নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেন। আমাকেও বিশ্বাস করেছিলেন। আসল কথা হল পারস্পরিক বিশ্বাস। এককথায় দুর্দান্ত। আপনি যদি আজও সেই ভিডিও দেখেন, অবাক হয়ে যাবেন।“
ট্রাম্পকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। তিনি বিতর্কিত। কখন কী করে বসবেন, কেউ জানে না। প্রথমবার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর মোদি যখন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান, তখন অনেকেই তাঁকে অনেক রকম পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাঁর সব ধারণা ভেঙে যায়। পডকাস্টে হাসতে হাসতে নিজেই এ কথা জানান মোদি। তিনি বলেন, “ হোয়াট হাউজে সবে পা রেখেছি। সব প্রোটোকল ভেঙে বেরিয়ে এলেন ট্রাম্প। নিজে হোয়াইট হাউজ ঘুরিয়ে দেখালেন। তাঁর হাতে কিছু নেই। কেউ তাঁকে কিছু বলেও দিচ্ছে না। কিন্তু সব তাঁর কণ্ঠস্থ। ‘এখানে আব্রাহাম লিঙ্কন থাকতেন’, কোর্টরুম কেন এভাবে ডিজাইন করা হয়েছে – সব বলে যাচ্ছেন। আমি অবাক হয়ে যাই।“