বিহার বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা যাদব পাশের রাজ্য ঝারখণ্ডে তার দলের প্রত্যাশার চেয়ে ভাল ফলাফল করায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন। ঝাড়খণ্ডে ২০১৯ সালের নির্বাচনে আরজেডি কেবল চতরা আসনে জয়ী হয়েছিল, কিন্তু এবার তারা দেবগড়, গোড্ডা, বিষরামপুর ও হোসেনাবাদ আসন জিতেছে। বিহারে এনডিএ চারটি বিধানসভা এলাকায় উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছে। এর মধ্যে ইমামগঞ্জ আসনে এনডিএ তাদের দখল বজায় রেখেছে, অন্যদিকে তরারি, রামগড় এবং বেলাগঞ্জ মহাগঠনবন্ধন-এর থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলায় হারলেও উপনির্বাচনে শক্তি বাড়াল বিজেপি! লোকসভায় জেতা আসন ধরে রাখল কংগ্রেস
তেজস্বী যাদব পটনায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে বলেন, “কিছু আসনে হার বড় কথা নয়। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে আমরা এই বিধানসভা এলাকাগুলিতে এগিয়ে ছিলাম। আমরা ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল করব এবং মহাগঠনবন্ধন বিহারে পরবর্তী সরকার গঠন করবে। হার-জিত নির্বাচনের অংশ, আমরা একদম হতাশ নই… আমরা একসাথে নির্বাচনে লড়েছি।”
আরও পড়ুন: বলুন তো, জিলিপি কোথা থেকে এসছে! এটি কোন দেশের জাতীয় মিষ্টি? ৯৯% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তরটি
আরজেডি বেলাগঞ্জ এবং রামগড় আসনে নিজেদের দখল ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে ইমামগঞ্জ আসনে দলের প্রার্থীও পরাজিত হয়েছেন। আরজেডি নেতা বলেন, “আমরা ঝাড়খণ্ডে চারটি বিধানসভা আসন জিতেছি। হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে মহাগঠনবন্ধন ঝারখণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। আমরা আবার ঝাড়খণ্ডে সরকার গঠন করতে চলেছি। ঝাড়খণ্ডের পর, মহাগঠনবন্ধন ২০২৫ সালে বিহারে সরকার গঠন করবে।”
যখন তেজস্বীকে প্রশ্ন করা হয় বিহারে আরজেডি কেন হারল, তখন তিনি বলেন, “আমরা একই জায়গায় লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলাম, কিন্তু পার্টি হার পর্যালোচনা করবে। এটা কোনও হতাশার বিষয় নেই। নির্বাচনে হার-জিত থাকে, তবে ভাল যে আমরা প্রস্তুতির সুযোগ পাচ্ছি। একটি বিষয়ে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে ঝারখণ্ডে আমাদের সরকার হয়ে গিয়েছে, এরপর ২০২৫ সালে বিহারেও আমাদের সরকার হবে।”