শিক্ষকটি প্রথমে বমি করেন এবং তারপর তাৎক্ষণিকভাবে নিচে পড়ে যান। কিছু সময়ের মধ্যে শিক্ষকটির মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনা শুধু ওই স্কুলে নয়, পুরো গ্রামে শোকের ছায়া ফেলেছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ঢেকে চারপাশ, পথ দুর্ঘটনার বলি দুই! আহত একাধিক
ঘটনার খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং শিক্ষকটির মৃতদেহকে চৌহাটান হাসপাতালের মর্চ্যুরিতে রাখা হয়। পরে পোস্টমর্টেমের পর দেহটি তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রামসর থানার খারা গ্রামের বাসিন্দা যোগারাম (২৫) চৌহাটান ব্লকের বিজরাড় ফুলাসর নাদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ সাল থেকে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে ভারতীয় রেলের তরফ দেখে দারুণ সুখবর, দেরি না করে জানুন
বৃহস্পতিবার স্কুলে ক্লাস চলাকালীন তিনি হঠাৎ করে চেয়ার থেকে নিচে পড়ে যান। প্রথমে শিক্ষকটির বমি হয় এবং এরপর তিনি পড়ে যান। দেখে ছাত্ররা আতঙ্কিত হয়ে যান। তারা শিক্ষককে সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং তারপর দ্রুত স্কুলের অন্যান্য শিক্ষককে খবর দেন।
অন্য শিক্ষকরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং পরিস্থিতি দেখে গ্রাম্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসা কর্মীদের ডাকেন। কিন্তু ততক্ষণে যোগারামের শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে স্কুল স্টাফ পুলিশ এবং যোগারামের পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সিবিইও এবং পুলিশ। যোগারামকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যোগারামের মৃত্যু সংবাদ শোনার পর তার পরিবার শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে। একইভাবে শিক্ষাবিভাগেও গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। পুলিশ জানিয়েছে প্রাথমিক তদন্তে এটি সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক (Silent Heart Attack) বলা হয়েছে।
যোগারামের ৪ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল এবং তার একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে। ২০২২ সালে তাকে শিক্ষক পদে প্রথম শ্রেণিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
এ ঘটনা তেমনি একটি কঠিন স্মারক হয়ে থাকবে, যে আমাদের শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ।