হোস্টেলে থাকতেন শ্রীপ্রিয়া। শহরের একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন তিনি। স্বামীর সঙ্গে আলাদা থাকছিলেন বেশ কিছুদিন। রবিবার দুপুরে বালামুরুগন স্ত্রীকে দেখতে হোস্টেলে আসে। প্রথমে কথাবার্তা হলেও পরে তা তর্কে পরিণত হয়। এর মধ্যেই লুকিয়ে আনা দা বার করে শ্রীপ্রিয়ার উপর হামলা চালায় সে। ধারালো অস্ত্রের লাগাতার আঘাতে গুরুতর জখম হন শ্রীপ্রিয়া। আচমকা এই হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হোস্টেলে; নিরাপত্তার জন্য বহু বাসিন্দা বাইরে বেরিয়ে আসেন।
advertisement
মায়ের ছদ্মবেশে তিন বছর ধরে পেনশন তুলছিলেন ছেলে! গ্রেফতারের পর সামনে এল বিভীষিকাময় প্রতারণা
তরুণীর একসময়ে মৃত্যু হয়। তার পর বালামুরুগন সেখানেই দাঁড়িয়ে স্ত্রীর দেহের সঙ্গে সেলফি তোলে এবং সেটি নিজের WhatsApp স্ট্যাটাসে দেয়। পালানোর চেষ্টাও করেনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনো পর্যন্ত সে ওখানেই ছিল। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার করা হয় হামলায় ব্যবহৃত দাটি।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রী অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন—এই সন্দেহেই বালামুরুগন খুন করেছে তাকে।
