গত ১৫ আগস্ট কাবুলের দখল নেয় তালিবান। একে একে সমস্ত এলাকার পতন হলেও হিন্দুকুশ পর্বত সংলগ্ন এই পঞ্জশির তালিবান আধিপত্যের বাইরেই থেকে যায়। বরং আফগান সেনা আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদ এবং গনি জামানার ভাইস-প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাক্তন সেনা ও তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার জন্য।
advertisement
২০১১ সালের কুখ্যাত ৯/১১-র দুদিন আগে আহমেদ মাসুদকে হত্যা করে আল-কায়দা বাহিনী। কিন্তু মৃত্যুর আগে অন্তত নয় হাজার মানুষকে একজোট করে আল-কায়দার বিরুদ্ধে তুমুল বীরত্ব প্রদর্শন করেছিলেন আহমেদ মাসুদ। পর্বতে ঘেরা পঞ্জশিরের ছেলেবুড়ো এই কিংবদন্তি জানে। সেই নজিরকে সামনে রেখেই তাই সালেহ-মাসুদ জুটি এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁরা দুজনেই বলছেন, তালিবানের কাছে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত মাথা নোয়াবে না।
রবিবার সৌদি আরবের আল আরাবিয়া নামক সংবাদমাধ্যমকে আহমেদ মাসুদ বলেন, "এভাবে চললে তালিবান খুব বেশিদিন নেই। আমরা আফগানিস্থানে রক্ত দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তৈরি।" মাসুদ বাহিনী বলছে, তালিবানের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব। কারণ মানুষ তাদের পছন্দ করে না। তালিবানদের হাতে অস্ত্রও সীমিত।
কিন্তু একথাও সত্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রেরিত সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার পরে তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের দখল নিয়েছে তালিবানরা। কাজেই তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা খুব সহজ কথা নয়. একথা বিলক্ষণ জানেন মাসুদ-সালেহ জুটিও।