ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন ১৫ই আগস্ট এর পরই স্কুল খোলা হতে পারে। যদিও এই বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। তবে লকডাউন পরবর্তী পর্যায় কিভাবে দেশজুড়ে স্কুল খোলা হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গাইডলাইন তৈরি করেছে এনসিইআরটি। তা বেশ কয়েকদিন আগেই ট্যুইট করে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী। শুধু তাই নয় স্কুল চালু করা হলে আগে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন হতে পারে বলেও জানা গেছে। এর পাশাপাশি একদিনে সব পড়ুয়ার বদলে প্রত্যেকদিন ৩০% করে করে পড়ুয়া নিয়ে ক্লাস করানোর গাইডলাইন দিতে পারে এনসিইআরটি তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর জল্পনা। তবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর মত ক্লাস গুলিতে পঠন-পাঠন না হলে কীভাবে বোর্ড পরীক্ষা গুলি দেওয়া সম্ভব তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে শিক্ষক মহলে।
advertisement
বিশেষত বিভিন্ন রাজ্য তথা সিবিএসই,আইসিএসই এর মত বোর্ড গুলিও আগামী বছরে এই বোর্ড পরীক্ষা গুলি নেবে। সে ক্ষেত্রে কোন ভাইরাসের সংক্রমণ এবং তার জেরে চলা লোকজনের জন্য অধিকাংশ স্কুল ই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পঠন-পাঠন সেই ভাবে শুরু করতে পারেনি। অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হলেও অধিকাংশ শিক্ষাবিদদের মতে ক্লাসরুমে যে পঠন-পাঠন হয় তা অনলাইনের মাধ্যমে করা যায় নাকি তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে শুধু বোর্ড পরীক্ষাগুলি নয় বিভিন্ন ক্লাসেই কিভাবে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে বিভিন্ন রাজ্য তথা সিবিএসই,আইসিএসই এর মত বোর্ডগুলি। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা বিভিন্ন রাজ্যের ভোটগুলির কাছেও সিলেবাসের বোঝাতে এই পরিস্থিতিতে কমানো যায় সেই বিষয়ে একাধিক আবেদনপত্র জমা পড়ছিল অভিভাবকদের কাছ থেকে।
অবশেষে মঙ্গলবার ট্যুইট করে সেই সিলেবাসের বোঝা কমানোর ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী। এক্ষেত্রে কিভাবে সিলেবাসের বোঝা কমানো হবে তা নিয়ে সিবিএসই, আইসিএসই এর মত বোর্ড গুলির সঙ্গে আলোচনাতেও খুব শীঘ্রই বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। যদিও সিলেবাসের বোঝা কমানো নিয়ে এ রাজ্যের তরফেও নির্দিষ্টভাবে আলোচনা শুরু হয়েছে বলেই জানা গেছে। বিশেষত আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সিলেবাস কি হবে কতটা নিয়ে পরীক্ষা করা হতে পারে তা নিয়ে প্রাথমিক স্তরে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে বলে স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর।
Somraj Bandopadhyay
