বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হলে মানুষের মনে হাইকোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, "হাইকোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা অক্ষুন্ন রাখতে আমরা এই নির্দেশ দেব না।" শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবি খাঁটি চলে যাওয়ার পরেই বিরোধী দলনে তাকে তো দেখেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। টুইটারে তিনি লিখেছেন, " নন্দীগ্রাম মামলায় ধাক্কা খেলেন শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা থেকে সরিয়ে অন্য কোন রাজ্যের হাইকোর্টে মামলার শুনানির আবেদন করেছিলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চায়নি, সুপ্রিম কোর্ট। সেই কারণেই মামলা প্রত্যাহার করলেন শুভেন্দু। এবার এই মামলার দ্রুত শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টেই।"
advertisement
আরও পড়ুন: প্রাথমিক দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তই, মানিকেও বহাল একই রায়! হাই কোর্টে রাজ্যের বিপর্যয়
উল্লেখ্য, ‘নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে’ এই অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee)। তাঁর নিশানায় ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত জুন মাসে প্রথম হাইকোর্টে মামলাটি ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে। কিন্তু ওই বেঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি থাকায় পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করে মামলা থেকে অব্যাহতি নেন বিচারপতি চন্দ। পরে জুলাই মাসে মামলাটি যায় বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে। কিন্তু এই মামলায় বেঞ্চ বদল হওয়ায় বেঁকে বসেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ওই মামলার বেঞ্চবদল ঘটায় সুবিচার তিনি পাবেন বলে আশা করছেন না।
আরও পড়ুন: পর্তুগালে ভারতীয় অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মর্মান্তিক মৃত্যু, উদ্বিগ্ন বিদেশমন্ত্রক
এরপরেই কলকাতা হাই কোর্টের উপর অনাস্থা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। সেখানে তাঁর আবেদন, কলকাতা হাইকোর্টে চলা মামলাটি পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য যে কোনও রাজ্যে স্থানান্তরিত করা হোক। এমতাবস্থায় মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ায় বিচারপতি সরকার তিন মাসের জন্য হাই কোর্টে শুনানি মুলতুবি করে দেন।