প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের সেঞ্চুরি পর্বে দেশের ১৬ জায়গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য শোনানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পক্ষ থেকে। বাংলায় জমি আন্দোলনের আতুঁড়ঘর নন্দীগ্রামও ছিল সেই তালিকায়।
আরও পড়ুন: বিরাট সুখবর! রাজ্য সরকারি কর্মীদের স্বাস্থ্য়রক্ষায় এবার নয়া পদক্ষেপ, আসছে ATM
প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের ১০০ তম পর্ব উপলক্ষে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির তরফে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। এদিন নন্দীগ্রামের গোকুলনগর হাইস্কুল ময়দানে নিজের কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক মানুষের সঙ্গে বসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি সূত্রের দাবি, এদিনের শ্রোতাদের তালিকায় উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ছিল মহিলাদের।
advertisement
শুভেন্দুর কথায়, ‘‘মন কি বাত অনুষ্ঠানের ১০০ তম পর্বের জন্য আট হাজার চেয়ারের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তার থেকেও বেশি মানুষ সমবেত হয়েছিলেন।’’ 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নিজের মনের ভাবনাটা গোটা দেশের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ১ ঘণ্টা AC চালালে কতটা পোড়ে তেল! না জানলে গরম কমাতে গিয়ে ফাঁকা হয়ে যাবে পকেট?
বড় ঘটনার কথা 'ফাঁস' করে শুভেন্দু সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এও বলেন, ‘‘আমি তখন অন্য দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী ছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত অভিযান থেকে শিক্ষা নিয়ে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সূচনা পর্ব থেকেই আমি আমার নিজের জীবনেও পরিবর্তন আনি। গাড়িতে সফর করার সময় পরিবেশের কথা মাথায় রেখে আমার গাড়ির ভেতর একটি ছোট ডাস্টবিন রাখার ব্যবহার শুরু করি। প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত অভিযান থেকে আমিও অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। পরিবেশকে নোংরা করার হাত থেকে রক্ষা করতে উনি বাধ্য করেছিলেন আমার গাড়িতে ডাস্টবিন রাখতে।’’
শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘নানান সামাজিক বিষয় 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনসমক্ষে আনায় আজ প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তা গোটা বিশ্বে সমাদৃত।’’
প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের ১০০ তম বিশেষ পর্বে রবিবার গোটা দেশের ১৬ টি জায়গাকে বেছে নেওয়ার তালিকায় বাংলার নন্দীগ্রাম থাকা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ‘‘বিধায়ক বা বিরোধী দলনেতা হিসেবে নয়, নন্দীগ্রামের একজন ভোটার হিসেবে আমি গর্বিত এই সুযোগ নন্দীগ্রামকে দেওয়ায়।’’
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী